খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৩ জনের নিয়োগ বাতিল

- আপডেট সময় : ০৪:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৮৬২ বার পড়া হয়েছে
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়নি শিক্ষক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। বিশ্বিবিদ্যালয়ের প্রশাসনের গাফিলাতির জন্য এটা হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষক নেতারা। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, ভিসির দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উপাচার্য হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুর রহমানকে নিয়োগের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে তখনি। বিশ্ববিদ্যালয়টির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্য উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিলে ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি এক বছর গত জানুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত প্রতিবেদনের পর ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
প্রথম উপাচার্য শহীদুর রহমানের নির্ধারিত চার বছর মেয়াদ শেষ হয় গত শনিবার। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সীমিত পরিসরে তাকে ফুল দিয়ে বিদায় সংবর্ধনা জানালেও, সংবর্ধনা দেয়নি শিক্ষকরা। তারা বলছেন, প্রশাসনের দুর্বলতার কারণেই শিক্ষকদের এমন পরিণতি হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির নেতারা বলছেন, ৭৩ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এটা বিশ্বিবিদ্যালয়ের প্রশাসনের গাফিলাতির জন্য হয়েছে। যার কারনে সব শিক্ষকরা ভিসির বিদায় অনুষ্ঠান বর্জন করেন।
তব রেজিস্ট্রার বলছেন, আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও উপাচার্যের সাথে সবাই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেছেন।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, ভিসির দুর্নীতি প্রমাণিত হলে, আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
১১ সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদটি ফাঁকা রয়েছে।