আজ কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস
- আপডেট সময় : ০৭:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৬১৪ বার পড়া হয়েছে
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের লাখাইয়ের কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস। এদিন পাক-হানাদার বাহিনী কৃষ্ণপুর গ্রামের ১২৭ জনকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পরও এই গ্রামের কেউই শহীদের তালিকভুক্ত হয়নি। নামও নেই মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়ও। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গ্রামবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় একটি বদ্ধভূমি নির্মিত হলেও সরকারিভাবে তা স্বীকৃতি পায়নি আজও। যদিও দিনটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ শহীদ পরিবারের দাবী সরকার যেন তাদের স্বীকৃতি দেয়।
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি ইউনিয়নের হাওর বেষ্টিত কৃষ্ণপুর। পুরো গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। ১৯৭১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল বেলা ওই গ্রামের সবাই যখন মহালয়া নিয়ে ব্যস্ত। এ সময় পুরো গ্রাম ঘিরে ফেলে পাক হানাদার বাহিনী ও রাজাকাররা। শুরু হয়
পাকবাহিনীর তান্ডব। গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে পাকবাহিনীর হাতে আটক হয় প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ। পরে স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় চন্ডিপুর ও গদাইনগর চিত্ত বাবুর বাড়ির সামনে সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে ১২৭ জনকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। এছাড়া ননী গোপালের বাড়িতেও গুলি বর্ষণ করে পাকবাহিনী। যা এখনও অক্ষত।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, জীবনের শেষ সময়ে সরকার যেন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তাকে স্বীকৃতি দেয়।
দীর্ঘদিন ধরে জেলা, উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও শহীদ পরিবার ও যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করা হয়নি বলে জানান এই মুক্তিযোদ্ধা।
তবে জেলা প্রশাসক জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংগে কথা বলে দ্রুত কৃষ্ণপুর এলাকায় স্মৃতি সংরক্ষণে সরকারি স্বীকৃতি দেয়া হবে।
স্থানীয়দের দাবী শহীদ পরিবার হিসাবে যেন তাদের স্বীকৃতি দেয়া হয়।