মানিকগঞ্জের বেইলী ব্রিজের একাংশ নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপাকে লাখো মানুষ
- আপডেট সময় : ০২:০০:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৬১ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জের ঘিওর-জিয়নপুর সড়কের ইছামতী নদীর কুস্তা বেইলী ব্রিজের একাংশ নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ায় বিপাকে ঘিওর ও দৌলতপুরের ৬ ইউনিয়নের লাখো মানুষ। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে কয়েক’শ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ঘিওর গরুর হাট। এক মাসের ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শতাধিক বসতবাড়ি। হুমকির মুখে ইছামতী ও ধলেশ্বরী নদী তীববর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, শশ্মানঘাট, মন্দির, মসজিদসহ বহু স্থাপনা।
ঘিওর-জিয়নপুর সড়কের কুস্তা বেইলী ব্রিজ একাংশ নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ায়, দু’দিন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার পর শনিবার বিকেল থেকে পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে যান চলাচল করতে আরও দু’একদিন লাগবে। এতে ঘিওর-দৌলতপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০ গ্রামের লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ ভাঙনের কবলে ইছামতির তীর। ভাঙ্গনে কয়েকশ’ বছরের পুরনো ঘিওর গরু হাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে ইছামতি ও ধলেশ্বরী নদী পারের বসতবাড়ী ফসলী জমি, বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান, শশ্মানঘাট, মন্দির, মসজিদসহ বহু স্থাপনা। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা কাজে আসছে-না। ফলে আতঙ্কিত নদীপাড়ের হাজারো মানুষ।
ভাঙ্গনরোধে যমুনার বুকে সুইস গেইট নির্মাণের দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির।
তীব্র স্রোতে আংশিক ভেঙ্গে যাওয়া বেইলি ব্রিজটি ঘিওর এলজিডি সংস্কার কাজ চলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে যানবাহনের জন্য খোলে দেয়া হবে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী।
নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না হলে, এবারও মারাত্মক হুমকিতে পড়বে সমৃদ্ধ এই জনপদ। দ্রুত ভাঙ্গনরোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি স্থানীয়দের।