কুড়িগ্রামে জাল-জালিয়াতি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী
- আপডেট সময় : ০৭:৩১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৮৩ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রামে ছোট বোনের শিক্ষা সনদ ব্যবহার করে রেজিষ্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী শুরু করেন বড় বোন। পরে প্রতিষ্ঠানটি সরকারীকরণ হলে ছোট বোন ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা শুরু করেন। এসময়ে বড় বোনের সন্তানকে নিজের সন্তান এবং বোন জামাইকে স্বামী দেখিয়ে পুরণ করেন বিভিন্ন তথ্য।এক সময় ইলেক্ট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেমে বেতন উত্তোলনের ফরম পুরণের সময় বাধে বিপত্তি। ধরা পড়ে বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির তথ্য।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের দীপচর পোড়ারচর। ২০১০ সালে সালে এ চরে প্রতিষ্ঠিত হয় আরাজি পিপুলবাড়ি রেজিষ্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বছর ২৫ অক্টোবর বড় বোন সালমা ছোট বোন রুনা খাতুনের শিক্ষা সনদ ও নাম ব্যবহার করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করেন।
পরে ২০১৭ সাল থেকে ছোট বোন রুনা খাতুন ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। কিন্তু মাসিক বেতন তুলতে ইলেক্ট্রনিক্স ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম-এর ফরম পুরণের সময় বয়স ও বিভিন্ন তথ্যের গরমিল দেখা দেয়ায় বাধে বিপত্তি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক তথ্যে রুনা খাতুন স্বামী হিসেবে বোন জামাই নজরুল ইসলাম ও সন্তান হিসেবে বড় বোনের সন্তানকে নিজের সন্তান দেখিয়ে শিক্ষা ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেন। ঘটনা প্রকাশের পর ভুল স্বীকার করেন দুই বোন।
তবে শিক্ষা সনদ জালিয়াতি ও ভুয়া শিক্ষা ভাতা গ্রহণের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান অভিযুক্ত শিক্ষক। এমনকি ২০১৪ সালে রুনা খাতুনের নামে প্রাইমারী ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে ট্রেনিংও করেন বড় বোন সালমা।
রুনা খাতুনের এ ধরনের প্রতারণার ঘটনায় তার সহকর্মী ও স্থানীয়রা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
সরকারী চাকরিতে প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে তলব করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
২০১৩ সালে সারাদেশের প্রায় ৩০ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে এ বিদ্যালয়ও জাতীয় করণের আওতায় আসে।