বরেন্দ্র প্রকল্পে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি
- আপডেট সময় : ০১:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ অক্টোবর ২০২২
- / ১৭২৩ বার পড়া হয়েছে
কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেও পার পেয়ে যান বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ’র কর্মকর্তারা। বছরের পর বছর ধরে নিষ্পত্তি হয় না অডিট আপত্তি। মাঝেমধ্যে অভিযান চালায় দুদক। কিন্তু কোনো কিছুতেই লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্বায়ত্ত্বশাসিত এই প্রতিষ্ঠানটির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের।
২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা খরচে সাবমারসিবল পাম্প, রি-উইন্ডিং তার এবং সুপার এনামেল তামার তার কেনে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএ
অডিটে ধরা পড়ে, দরপত্র ছাড়াই বিপুল টাকার কেনাকাটা করা হয় গাজীপুরের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। একইভাবে উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়াই জলাবদ্ধতা নিরসন ও ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্পের কেনাকাটা করা হয় । প্রায় সাত কোটি টাকার লেনদেন হয় সেখানে। এই দু’ অর্থবছরে খননকৃত পুকুরে ঘাট নির্মাণ ও ঘাস লাগানোসহ নানাখাতে ডিপিপি বর্হিভূত বিভিন্ন কাজের বিল পরিশোধ হয় ১১ কোটি টাকার।
এভাবে প্রায় প্রতিটি প্রকল্পেই সরকারি টাকা পকেটে তুলেছেন বিএমডিএ’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। তবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বলছেন, গোপনেই এসব কাজ সেরেছেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক।
এদিকে, দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনগুলো বলছে, সাত বছর ধরে নির্বাহী পরিচালকের পদ দখলে রেখে বিএমডিএকে দুর্নীতির কারখানায় রূপান্তরিত করা হয়েছে।
সুশাসন বিশ্লেষকদের মতে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সনীতি বাস্তবায়নে অর্থ লুণ্ঠনকারীদের প্রতি আরো কঠোর হতে হবে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েও সাত কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিল দুদক।