যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দেশ ভাগের স্বপ্ন চূর্ণ
- আপডেট সময় : ০২:১১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
- / ১৬৫১ বার পড়া হয়েছে
নিরাপত্তা আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৯ দিনের অভিযানে দেশ ভাগের স্বপ্ন ভেস্তে গেলো পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের। ইতিমধ্যে অন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেএসএসের ওপর দায় চাপিয়ে, মাফ চেয়ে পিছু হটার ঘোষণা দিয়েছে তারা। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও এনজিওগুলোর মনিটরিং জোরদার করার পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়ে সেনাক্যাম্প বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
কখনো সেনাবাহিনীর পোষাক গায়ে চাপিয়ে অস্ত্রের মহড়া, কখনো জ্যান্ত পোকা চিবিয়ে খাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে, ভীতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ। তিন পার্বত্য জেলাসহ ভারত ও মিয়ানমানের সীমান্তবর্তী একটি অংশকে আলাদা করে মনগড়া মানচিত্রের পাশাপাশি নিজেদের পতাকা প্রকাশ করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি।
কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, রেব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে মাত্র ৯ দিনের মাথায় মাফ চেয়ে পিছু হটার ঘোষনা দিয়েছে সংগঠনটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা বহু বছরের পুরনো সমস্যা। তাই এটাকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
পার্বত্য চট্টগ্রামে কাজ করা সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মতে, দুর্গম পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির একটি অংশের সহায়তায় ফুলে ফেপে উঠেছে বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠনগুলো। তাই সন্ত্রাস দমনে স্থানীয় বাসীন্দাদের আস্থা অর্জনের বিকল্প নেই। [ফুটেজ-৩]
শান্তীচুক্তির অংশ হিসেবে দুর্গম এলাকা থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে সরকার। এই সুযোগ সদব্যবহার করছে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। তাই ঝুকিপুর্ণ এলাকায় নতুন ক্যাম্প স্থাপনের পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের সমূলে উৎপাটনে কূটনৈতিক তৎপরতায়, তিন দেশের যৌথ অভিযান প্রয়োজন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় কেএনএফসহ ৫ টি সশস্ত্র সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে। সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে সবগুলোই।