দুর্গম পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির পরামর্শ বিশ্লেষকদের, আটক আরো ১০
- আপডেট সময় : ০৬:২৮:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
- / ১৫৯৪ বার পড়া হয়েছে
বান্দরবন, রাঙামাটি ও মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় শুরু হওয়া যৌথ বাহিনীর সর্ববৃহৎ অভিযানে প্রথমবারের মতো জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ার ৭ সদস্য ও পাহাড়ী উপজাতীয় সশস্ত্র সংগঠনের ৩ সদস্যসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। সকাল ১১টায় বান্দরবন রেব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন রেবের মিডিয়া উইংয়ের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বান্দরবন, রাঙামাটি ও মায়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তায় ক্যাম্প স্থাপন করে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়া।
এ খবর জানতে পেরে পাহাড়ে ৯ অক্টোবর রাত থেকে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। অভিযান শেষে সাফল্যের বার্তা দিল এলিট ফোর্স- রেব। জানানো হয়, সমতল এলাকা থেকে নিখোঁজ ৭ যুবকসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তারের কাহিনী।
অভিযানে ৯টি লম্বা বন্দুক ও ৫০ রাউন্ড কার্তুজ, ৬২টি লম্বা বন্দুকের কার্তুজ কেইস, ৬টি হাত বোমা, ১টি কার্তুজ কেইস, ২টি কার্তুজ বেল্ট, ১টি দেশীয় পিস্তল, ১টি ওয়াকিট, জেহাদী বই ও ১টি ওয়াকিটকিসহ আরো বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দ মারুফ আহমদ মানিক, স্বরূপকাঠির ইমরান হোসেন শাওন, মুলাদীর মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রকাশ আলী, গোপালগঞ্জের আবু সিদ্দিক, শৈলকূপার কাওসার প্রকাশ শিশির, বিয়ানিবাজারের জাহাঙ্গীর আলম জনু, ছাতকের রুফু মিয়া, রোয়াংছড়ি উপজেলার জৌথান স্যাং বম, স্টিফেন বম ও মালসম বম।
অবশিষ্ট নিখোঁজ যুবকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।