দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রীবাহী ট্রেন যা আগে দেখেনি কেউ
- আপডেট সময় : ০৯:৫৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
- / ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে
আলপ্স পর্বতমালার ওপর দিয়ে ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেলেছে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রীবাহী ট্রেনটি।
দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেন বানিয়ে ইতিহাস গড়েছে সুইজারল্যান্ড। ১০০ বগির ট্রেনটিতে আসন সংখ্যা ৪,৫৫০টি। এর ধারণ ক্ষমতা ২,৯৯০ টন। আলপ্স পর্বতমালার ওপর দিয়ে ২৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেলেছে ট্রেনটি।
এর আগে সবচেয়ে লম্বা যাত্রীবাহী ট্রেনের রেকর্ড ছিল বেলজিয়ামের দখলে। সুইস রেলওয়ের ১৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দিবসটি উপলক্ষে গত শনিবার সুইস রিহেটিয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা এই যাত্রীবাহী ট্রেনটি চালায়। সাড়ে চার হাজার আসনের ট্রেনটিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী ট্রেন বলা হচ্ছে।
ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি পাওয়া পূর্ব সুইজারল্যান্ডের প্রেডা থেকে আলভ্যানিউ পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিতে ট্রেনটির সময় লেগেছে প্রায় এক ঘণ্টা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রেডা ও আলভ্যানিউর উচ্চতা যথাক্রমে ১,৭৮৮ মিটার ও ১,০০০ মিটার। ১,৯১০ মিটার লম্বা ট্রেনটি যাত্রা পথে ২২টি টানেল ও গভীর উপত্যকার ওপর দিয়ে ৪৮টি সেতু পার হয়েছে। এ পথ পাড়ি দিতে ৭ জন চালক ও ২১ জন প্রকৌশলী এ ট্রেনের নেতৃত্বে ছিলেন। ট্রেনের প্রধান চালক আন্দ্রিয়াস ক্রেমার (৪৬) বলেন, সবার কাছে আলবুলা লাইন সুপরিচিত। ট্রেনের গতি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
তবে জরুরি ব্রেক ব্যবস্থা ঠিক মতো কাজ না করায় ট্রেনটির প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল ব্যর্থ হয়।
১০০ বগির ট্রেনটিতে আসন ছিল ৪ হাজার ৫৫০টি এছাড়া ট্রেনের সাত চালক বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ অতিক্রমের সময় নিজেদের মধ্যে রেডিও বা সেলফোনেও যোগাযোগ রাখতে পারছিলেন না। পরে বিশেষ যোগাযোগব্যবস্থা চালু করে একই গতিতে ট্রেনটি পরিচালনায় সক্ষম হন চালকেরা।
বিস্তৃত উপত্যকা ও সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটির গতি ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার রাখা হয়।
ট্রেনটি চলাচলের দৃশ্য টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হয়েছিল। ছবি ধারণ করতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সেদিন আলবুলা টানেল থেকে সেন্ট মরিৎজ পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেন চলাচল ১২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
এর আগে ১৯৯১ সালে যাত্রীবাহী দীর্ঘ ট্রেনের রেকর্ড গড়েছিল ন্যাশনাল বেলজিয়ান রেলওয়ে কোম্পানি। ৭০ বগি দিয়ে সাজানো সে ট্রেনের দৈর্ঘ্য ছিল ১,৭৩২ মিটারের একটু বেশি।