০২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পেট্রোবাংলায় চলছে হরিলুট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৬১৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ার অবস্থায় চলছে জ্বালানী খাত নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা। সিলেট গ্যাস ফিল্ডের এমডি থাকা অবস্থায় ৩২ লাখ লিটার কনডেনসেট গায়েব করে দিয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক হয়ে সেই ঘটনা তিন বছর ধরে ধামা চাপা দিয়ে রেখেছেন পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক আলী ইকবাল মো: নুরুল্লাহ। বিষয়টি দুদক পর্যন্ত গড়ালেও দুর্নীতির বিচার এখনো হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, তীব্র জ্বালানী সংকটের এই সময়ে এতোবড় দুর্নীতির বিচার না হলে, ভেঙ্গে পড়বে জ্বালানী খাতের শৃঙ্খলা।

উত্তোলিত প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে বাই প্রডাক্ট হিসেবে আসা কনডেনসেট পরিশোধন করে দেশের অকটেন ও পেট্রোলের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানী করা সম্ভব। এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু অমুল্য প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের পরিবর্তে হরিলুট চলছে বহু বছর ধরে। যা প্রকাশ্যে আসে ২০১৯ সালে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের দুটি প্লান্টের মজুদ পর্যালোচনা করার পর।  যেখানে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৭ লিটার কনডেনসেট গায়েব হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। যা নিয়ে দুদক, পেট্রোবাংলা এমনকি জ্বালানী মন্ত্রণালয়েও তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে যায় সবকিছু। জিএফএক্স-১,২,৩ দুদকের আইনজীবীর দাবি পেট্রোবাংলার সহযোগীতা না পাওয়ায় অনুসন্ধানে বড় বাধা তৈরী হয়।

বিপুল পরিমান এই কনডেনসেট গায়েব হওয়ার সময় এসজিএফএলের এমডি ছিলেন আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। সিনিয়র ৩৩ জনকে ডিঙিয়ে যিনি বর্তমানে পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক। ক্ষমতার দাপটে এতোবড় দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রাখার কারনে জ্বালানী তেলের কাঁচামালের এমন হরিলুট এখনো চলছেই।

তবে আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর দাবি কনডেনসেট গায়েবের বিষয়টি যখন ধরা পড়েছিলো, তখন তিনি ঢাকায় ছিলেন।

সিলেট গ্যাস ক্ষেত্রের অধিনস্ত এই দুটি প্লান্ট থেকে বিপুল পরিমান কনডেনসেট ঘাটতির বিষয়টি পেট্রোবাংলাকে অবহিত করেন প্রতিষ্ঠানটির হিসাব ও অর্থ বিভাগের ততকালিন মহাব্যবস্থাপক খন্দকার ইকরামুল কবীর।পরবর্তিতে পেট্রোবাংলার পরিচালক হয়ে ইকরামুলকেই নানাভাবে হেনস্তা করেন আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পেট্রোবাংলায় চলছে হরিলুট

আপডেট সময় : ০২:৪২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ার অবস্থায় চলছে জ্বালানী খাত নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা। সিলেট গ্যাস ফিল্ডের এমডি থাকা অবস্থায় ৩২ লাখ লিটার কনডেনসেট গায়েব করে দিয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক হয়ে সেই ঘটনা তিন বছর ধরে ধামা চাপা দিয়ে রেখেছেন পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক আলী ইকবাল মো: নুরুল্লাহ। বিষয়টি দুদক পর্যন্ত গড়ালেও দুর্নীতির বিচার এখনো হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, তীব্র জ্বালানী সংকটের এই সময়ে এতোবড় দুর্নীতির বিচার না হলে, ভেঙ্গে পড়বে জ্বালানী খাতের শৃঙ্খলা।

উত্তোলিত প্রাকৃতিক গ্যাসের সঙ্গে বাই প্রডাক্ট হিসেবে আসা কনডেনসেট পরিশোধন করে দেশের অকটেন ও পেট্রোলের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানী করা সম্ভব। এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু অমুল্য প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের পরিবর্তে হরিলুট চলছে বহু বছর ধরে। যা প্রকাশ্যে আসে ২০১৯ সালে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডের দুটি প্লান্টের মজুদ পর্যালোচনা করার পর।  যেখানে ৩১ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৭ লিটার কনডেনসেট গায়েব হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। যা নিয়ে দুদক, পেট্রোবাংলা এমনকি জ্বালানী মন্ত্রণালয়েও তোলপাড় শুরু হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে যায় সবকিছু। জিএফএক্স-১,২,৩ দুদকের আইনজীবীর দাবি পেট্রোবাংলার সহযোগীতা না পাওয়ায় অনুসন্ধানে বড় বাধা তৈরী হয়।

বিপুল পরিমান এই কনডেনসেট গায়েব হওয়ার সময় এসজিএফএলের এমডি ছিলেন আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। সিনিয়র ৩৩ জনকে ডিঙিয়ে যিনি বর্তমানে পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক। ক্ষমতার দাপটে এতোবড় দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রাখার কারনে জ্বালানী তেলের কাঁচামালের এমন হরিলুট এখনো চলছেই।

তবে আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর দাবি কনডেনসেট গায়েবের বিষয়টি যখন ধরা পড়েছিলো, তখন তিনি ঢাকায় ছিলেন।

সিলেট গ্যাস ক্ষেত্রের অধিনস্ত এই দুটি প্লান্ট থেকে বিপুল পরিমান কনডেনসেট ঘাটতির বিষয়টি পেট্রোবাংলাকে অবহিত করেন প্রতিষ্ঠানটির হিসাব ও অর্থ বিভাগের ততকালিন মহাব্যবস্থাপক খন্দকার ইকরামুল কবীর।পরবর্তিতে পেট্রোবাংলার পরিচালক হয়ে ইকরামুলকেই নানাভাবে হেনস্তা করেন আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহ।