দুদকের মামলার আসামী হয়েও পদোন্নতি পেয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক
- আপডেট সময় : ০৪:০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬১৩ বার পড়া হয়েছে
বিপুল পরিমাণ কনডেনসেট গায়েব ও ঠিকাদারের জরিমানা ফেরত দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ এবং দুদকের মামলার আসামী হয়েও লাফিয়ে লাফিয়ে পদোন্নতি পেয়ে পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক হলেন আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহ। চাকরির মেয়াদ শেষে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে এখন মরিয়া পেট্রোবাংলার দুর্নীতিবাজ সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ‘র এই প্রধান সহযোগী। বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা তিরস্কারের পরিবর্তে পুরস্কৃত হলে, ভেঙ্গে পড়বে চেইন অব কমান্ড।
দৈনিক চার হাজার ব্যারেল উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন রশিদপুর কনডেনসেট ফ্রাকশনেশন প্লান্ট স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করে সিলেট গ্যাস ফিল্ড। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা ও শর্তভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ১০ শতাংশ এলডি হিসেবে ৪৩ কোটি টাকা কেটে রাখে পেট্রোবাংলা। যা এসজিএফএলের বার্ষিক আয় ধরে ১০ কোটি টাকা রাজস্বও প্রদান করা হয় সরকারকে। কিন্তু কেটে রাখা সেই এলডি’র টাকা ফেরত দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহর বিরুদ্ধে।
আরপিজিসিএলের ম্যানেজার থাকাকালিন ৭ শো কোটি টাকার তেল চুড়ি, তিতাসের এমডি থাকা অবস্থায় প্যারাগন টেক্সটাইলসহ একাধিক বিলুপ্ত গ্রাহককে পুনসংযোগ দেয়াসহ আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলাও করছে দুদক।
পেট্রোবাংলা থেকে দুদকের সেই মামলার নথিও গায়েব করে ফেলেছেন তিনি। যদিও সেই নথির একটি কপি এসেছে এসএটিভির হাতে। এতে হতবাক বিশ্লেষকরা।
আর অভিযুক্ত আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর দাবি, প্রতিপক্ষ কর্মকর্তারাই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
২০০৮ সালে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানী–আরপিজিসিএলের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ। পেট্রোবাংলার জেষ্ঠতার তালিকায় যার অবস্থান ছিল ৩৪তম। ৩৩ জনকে ডিঙিয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদটি বাগিয়ে নেন তিনি। ফুটেজ-২ ও ফুটেজ ৩ সাম্প্রতি পেট্রোবাংলার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালকের চলতি দায়িত্ব পেতেও অন্তত দুটি ধাপে জৈষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।