দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীর বাজারে গলদা চিংড়ির ব্যাপক দরপতন
- আপডেট সময় : ০২:২৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০২২
- / ১৮০০ বার পড়া হয়েছে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীর বাজারে সাদা সোনা খ্যাত বাগদা ও গলদা চিংড়ির ব্যাপক দরপতন হয়েছে। একমাসের ব্যবধানে প্রকারভেদে কেজিতে দাম কমেছে ১শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। ফলে চরম সংকটে পড়েছে চিংড়ি শিল্পে জড়িতরা।
মৎস্য বিভাগ বলছে, বৈশ্বিক মন্দায় রপ্তানী বন্ধ হওয়া এবং কিছু দেশ চিংড়ি ফেরৎ পাঠানোই দরপতনের মূল কারণ। কতিপয় অসাধু চক্র চিংড়ির ওজন বাড়াতে জেলি পুশ করছে– এমন অভিযোগে তাদের আটক করে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলার বেশির ভাগ মানুষ মৎস চাষে নির্ভরশীল। জেলায় ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে ৬৬ হাজার ৫৯৭টি গলদা ও বাগদা চিংড়ি ঘের রয়েছে। আশির দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয় নোনা পানির চিংড়ি চাষ।
সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অঞ্চলের উৎপাদিত চিংড়ির ৯০ শতাংশই ইউরোপসহ বিশ্বের ৩২টি দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ স্বাভাবিক না হওয়া এবং কিছু দেশ চিংড়ি ফেরৎ দেয়ায় বাজারে চিংড়ির দাম কমেছে।
চিংড়ি চাষিরা জানান, এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে একশ’ থেকে তিনশ টাকা কমে খোলা বাজারে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষীরা।
বিদেশে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করা গেলে, চাষিরা প্রকৃত দাম পাবে বলে মনে করেন চিংড়ি ব্যবসায়ীরা।
চিংড়ির ওজন বাড়াতে বিষাক্ত জেলি পুশ করায়, অসাধু ব্যবসায়ীদের জেল ও জরিমানা করা হচ্ছে।
বিশ্ব বাজারে চিংড়ির দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা দাম পাচ্ছে না বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খাবারের মূল্যবৃদ্ধি, পোনার দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে চরম সংকটের মধ্যে রয়েছেন সম্ভাবনাময় চিংড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা