সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে দেয়া সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৪:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
যতবেশী প্রতিযোগীতা ও প্রশিক্ষণ। ততবেশী উৎকর্ষতা, ক্রিড়ার উন্নয়নে এই ভাবনা থেকে দেশের প্রতিটি বিভাগে, একটি করে বিকেএসপি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ে হয়েছে, বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াতের নেতিবাচক সিদ্ধান্তে ক্রিড়া অঙ্গনে নেমে এসেছিলো কালো অধ্যায়, তবে বর্তমান সরকারে ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় ক্রিড়া অঙ্গনে এসেছে ঈর্ষনীয় সাফল্য।
উনিশ বছর পর মেয়েদের হাত ধরে ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব আসে বাংলাদেশে। উল্লাসে ভাসে গোটা দেশ। ছাদখোলা বাসে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেয় দেশের সাধারণ মানুষ। রাষ্ট্রীয় কাজে তখন দেশের বাইরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই মেয়েদের সংবর্ধনা দিতে পারেননি।
সাবিনা কৃষ্ণাদের সেই অপূর্ন ইচ্ছের পূর্নতা দিতেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে এই আয়োজন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাফজয়ী ২৩ ফুটবলারসহ টিম ম্যানেজমেন্টের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
ক্রিড়া সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যের পর সাফজয়ী প্রত্যেক নারী খেলোয়াড়কে ৫ লাখ টাকা দেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সাবিনা সানজিদারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন সাবিনা সানজিদারা।
আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের শুরুতেই সাফ ট্রফি জয়ী নারী ফুটবল দলের সব সদস্যদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ক্রিড়ার উন্নয়নে সরকারের নেয়অ ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তবে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের কারণে ক্রিড়া অঙ্গনে কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিকেএসপি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধামন্ত্রী।
শিশুদের ক্রিড়া প্রেমী করতে অভিবাবক এবং ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান সরকার প্রধান।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল বিজয়কে ধারণ করে খেলোয়ারদের মনোবল চাঙ্গা রাখার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।