এনআইডিসহ বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেয়েছে অন্তত ৪ লাখ রোহিঙ্গা
- আপডেট সময় : ০২:৫৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে আশ্রিত মিয়ানমারের অন্তত ৪ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক এখন বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র এমনকি পাসপোর্টও ব্যবহার করছে। জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য ১ লাখ আর পাসপোর্ট পেতে গুণতে হয় দেড় লাখ টাকা।
চট্টগ্রামে পাসপোর্ট করতে এসে ধরাপড়া কয়েকজন রোহিঙ্গা ও দালাল গ্রেফতারের পর প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। দুবছর আগে বিষয়টি প্রথম সামনে আনা দুদকের চাকুরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের দাবি, নির্বাচন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এমনকি প্রশাসনের কতিপয় প্রভাবশালী কর্মকর্তার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে তৎপর।
চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলাকালে ভোটার হতে এসে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুই দালালসহ ১০ রোহিঙ্গা নাগরিক।
তাদের স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে, চাঞ্চল্যকর তথ্য। সুনির্দিষ্ট একটি চক্রের হাতে এক লাখ টাকা দিলে এনআইডি আর দেড় লাখ টাকা দিলে পাসপোর্ট পর্যন্ত সরবরাহ করে তারা।
নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকার একটি কনফেকশনারী দোকানে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা এই যুবক দুদকের চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন।
দু’বছর আগে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন তিনিই। বাংলাদেশের ভোটার তালিকা থেকে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আলাদা ২০টি মামলাও করেছিলেন তিনি।
তার দাবি, শুধু মাঠ পর্যায়ের দালালই নয়, নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা এমন একজন সচিবের নামও জড়িয়ে আছে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়ায়। যাদের মুখোশ উন্মোচন করতে গিয়েই চাকরি হারিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের খুজে বের করতে দুদক ও নির্বাচন অফিসের সমন্বয়ে কমিটি করেছে সরকার।
অল্প সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৩ টি ওয়ার্ড, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও ঢাকার দুটি এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করা ৭৫ হাজার রোহিঙ্গাকে চিহ্নিত করে টিমটি। কক্সবাজার ও তিন পার্বত্যজেলা নিয়ে কাজ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি হারান শরীফ। এখানেই থেমে যায় সেই অনুসন্ধান।