রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে কী হবে?
- আপডেট সময় : ০৫:৪০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
- / ১৭৪৪ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সপ্তাহব্যাপী পরমাণু যুদ্ধ হলে পরিবেশ, মানুষ ও বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহের উপর তার প্রভাব কেমন পড়বে, তা নিয়ে গত আগস্টে ‘নেচার’ জার্নালে একটি গবেষণা ছাপা হয়৷
গবেষকরা ধারণা করেছেন, ঐ যুদ্ধের কারণে ৩৬ কোটি মানুষ মারা যেতে পারেন৷ পাঁচশ কোটি মানুষ দুই বছরের জন্য খাদ্য সংকটে পড়তে পারেন, কারণ বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ার ঝুল খাদ্য উৎপাদন বিনষ্ট করবে৷
যুদ্ধে কৌশলগত অস্ত্র ব্যবহার করা হবে ধরে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে৷ গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাস সায়েন্সেসের অধ্যাপক অ্যালান রবোক জানান, কৌশলগত অস্ত্র বলতে ‘অনেক দূর থেকে ছোড়া হয়েছে’ এমন অস্ত্র বোঝায়৷
আগের এক গবেষণায় অধ্যাপক রবোক দেখিয়েছিলেন, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে প্রায় ০.৫ টেরাগ্রাম ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছিল৷ আর সম্প্রতি করা গবেষণায় তিনিসহ অন্যান্য গবেষকরা ধারণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে ১৫০ টেরাগ্রাম ধোঁয়া সৃষ্টি হবে৷
নেচার জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের গবেষকরা ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হবে তাও জানার চেষ্টা করেছেন৷ তারা বলছেন, ঐ যুদ্ধ হলে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ প্রাণ হারাবেন৷ আর আড়াইশ কোটি মানুষ দুই বছরের জন্য খাদ্য সংকটে পড়বেন৷
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ইউনিয়ন অফ কনসার্নড সায়েন্টিস্টের’ গ্লোবাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী ডিলান স্পলডিং বলেন, ভূমিতে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ আর আকাশে বিস্ফোরণ- এই দুইয়ের মধ্যে প্রভাবে ভিন্নতা আছে৷
আকাশে বোমা ফাটলে অনেক প্রাণহানি হতে পারে৷ তবে আশেপাশের পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কম হতে পারে৷ কিন্তু ভূমিতে বিস্ফোরণ হলে প্রাণহানির পাশাপাশি পরিবেশ ও মানুষের উপর তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব বেশি হতে পারে৷ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা বিস্ফোরণ এবং চেরনোবিল দুর্ঘটনার মধ্যে তুলনা করলে এই বিষয়টার প্রমাণ পাওয়া যায়৷ কারণ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিস্ফোরণে যে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়েছিল তার পরিমাণ চেরনোবিলের চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ কম ছিল৷
ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ)