তারকা ভরপুর-সম্পর্কের গল্প ‘ক্যাফে ডিজায়ার’
- আপডেট সময় : ০৭:২৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
- / ১৫৯০ বার পড়া হয়েছে
বিনোদন প্রতিবেদক : ‘ঊনলৌকিক’ সিরিজের পরিচালক রবিউল আলম রবি এবার ফিরছেন সিনেমা নিয়ে। চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ‘ক্যাফে ডিজায়ার’ খুব দ্রুত মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তারকা ভরপুর মনস্তাত্বিক সম্পর্কের গল্প ‘ক্যাফে ডিজায়ার’।
আজাদ আবুল কালাম, ইন্তেখাব দিনার, সোহেল মন্ডল, তমা মির্জা, খাইরুল বাশার, শ্যামল মাওলা, সানজিদা প্রীতি, সারিকা সাবরিন, আইশা খান, ফারহানা হামিদ, প্রিয়ন্তী উর্বী, প্রিয়াম অর্চি, বায়েজিদ হক জোয়ারদারসহ অনেকই অভিনয় করেছেন এই সিনেমায়।
সিরিজের পর এবার সিনেমা নিয়ে ফেরার প্রস্তুতিগুলো কেমন ছিল জানতে চাইলে পরিচালক রবিউল আলম রবি বলেন, ‘ঊনলৌকিক পরবর্তী কাজে গল্প বলার ধরন ও বিষয়ে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছিলাম আমরা। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে বহুল প্রচলিত সাসপেন্স-থ্রিলার, মার্ডার মিষ্ট্রি ইত্যাদির বাইরে আর কি করা যায়, ভাবছিলাম। দৈনন্দিন প্রাত্যহিকতা, অস্তিত্ব সংকট, নর-নারীর সম্পর্ক, মানুষের মনস্তত্ত্ব, বাস্তববাদী শৈলী, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করি। সেই প্রেক্ষাপটে শিবু ভাই (শিবব্রত বর্মন) কিছু চরিত্রের খসড়া তৈরি করেন। তাতে লক্ষ্য করি যে, সবগুলো চরিত্র ও তাদেরকে কেন্দ্র করে তৈরি করা প্লটগুলো মূলত প্রেম, কামনা ও বাসনার অভিন্ন সুতায় গাঁথা।‘
বিশাল এক কাস্টিং ছিল ঊনলৌকিক সিরিজে আবার ক্যাফে ডিজায়ার সিনেমাটিতেও একই। পরিচালক হিসেবে চরিত্রগুলো মেইন্টেইন করেন কীভাবে জানতে চাইলে রবি বলেন, ‘প্রথমত, গল্পে একটা নির্দিষ্ট চরিত্রকে আমি যেভাবে অনুধাবন করি, তা নিয়ে অভিনয়শিল্পীর সাথে বিস্তারিত আলাপ করতে পছন্দ করি। আমার চিন্তা-ভাবনার সাথে তারা কিভাবে সাড়া দিচ্ছে, সেটা বোঝার চেষ্টা করি। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সময় দিতে হয়। কারণ, এই আলাপ-আলোচনা থেকেই নির্দিষ্ট চরিত্র নিয়ে অভিনয়শিল্পীর সাথে আমার একটা যৌথ বোঝাপড়া তৈরি হয়।
একবার সেটা হয়ে গেলে, পরবর্তীতে সেটা বজায় রাখার কাজটা আর আমার একার থাকে না। স্ক্রিপ্ট রিডিং, রিহার্সেল এবং শ্যূটিংয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে অভিনয়শিল্পীরা নিজেই সেটা করে থাকে। বাংলাদেশে অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী আছে। তাদের সহযোগে এই কর্মপ্রক্রিয়া অনেক সহজ ও আরামদায়ক হয়ে যায়।
দর্শকদের উদ্দেশ্য পরিচালক বলেন, ‘যারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, আর যারা সেটা দেখেন, দু’পক্ষ ভিন্ন জগতের বাসিন্দা। চলচ্চিত্রটা তাদের মধ্যে এক যোগাযোগের মাধ্যম। ফলে প্রতিবার কিছু বানাবার পর আমি উদ্বেগে থাকি – দর্শকেরা এটা কীভাবে নেবেন, কতোটা যোগাযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে। এবার দ্বিগুণ উদ্বেগে আছি। কেননা এ ছবিতে আমরা গল্প বলা নিয়ে কিছু নিরীক্ষা করেছি।‘
শিবব্রত বর্মণের গল্পে চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক ও লেখক নিজেই। সুমন সরকার সিনোমাটোগ্রাফী, রাশিদ শরীফ শোয়েবের মিউজিক ও সালেহ সোবহান অনীমের সম্পাদনা কনটেন্টটিকে অন্যরকম এক মাত্রা যোগ করবে।