২০৪১ সালে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১৫৮৮ বার পড়া হয়েছে
বিজয়ের এই মাসে ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) পালিত হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস। এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো দেশে দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ১২ ডিসেম্বরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালন করছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে লেখে, ২০২১ সালের লক্ষ্য ডিজিটাল বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে এসে রূপকল্প-২০২১ ঠিক করা হয়। ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার ১২ ডিসেম্বর তারিখটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের ঘোষণা দেয়। ২৬ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে আইসিটি দিবসের পরিবর্তে এ দিনকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর দিবসটি পালন করে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রয়েছে নানা আয়োজন। সোমবার সকালে আইসিটি বিভাগে (আইসিটি টাওয়ার, আগারগাঁও) স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ বিভাগ, অধিদফতর সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
দিবসটি অন্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি’ শীর্ষক আয়োজন। এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যেমন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিচ্ছি; আমাদের আগামী লক্ষ্য হলো- ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের পর ২০১০ সালে ২০১০ থেকে ২০২১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নিয়ে তারই ভিত্তিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা কাজ করেছি বলেই আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। ২১ সালে যেটা লক্ষ্য স্থির করেছিলাম সেটা আমরা অর্জন করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো।
২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যানের কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ থেকে ৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে দিয়ে গেলাম অর্থাৎ ২১ থেকে ৪১ কিভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন টা কিভাবে হবে তার একটা কাঠামো পরিকল্পনা আমরা প্রণয়ন করে সেটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আমি রেখে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ২১০০ সালের এ বদ্বীপ-প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন এ বদ্বীপে জলবায়ু অভিঘাত থেকে রক্ষা পায়, দেশ উন্নত হয়, উন্নত দেশে তারা যেন স্বাধীনভাবে সুন্দরভাবে স্মার্টলি বাঁচতে পারে সে ব্যবস্থাটাও করে দিয়ে গেলাম। এখন সব নির্ভর করছে আমাদের ইয়ং জেনারেশনের ওপর। তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের উন্নতি এটাই ছিল আমাদের ১৮ নির্বাচনের ইশতেহার। আমরা সেই কাজটাই করে যাচ্ছি।
মৃত্যুকে পরোয়া করেন না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমার-ছিয়াত্তর বছর বয়স। যে কোনদিন অক্কা পেতে পারি তাই না; যে কোনোদিন চলে যেতে পারি। তার ওপর গুলি-বোমা-গ্রেনেড হামলা, তারেক জিয়া খালেদা জিয়া তারা আমাকে ছেড়ে দেয়নি। বারবার আমার ওপর হামলা করেছে কিন্তু আমি বেঁচে গেছি; আইভি রহমানকে হারিয়েছে আমাদের বহু নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। কিন্তু বারবার তো এ আঘাতগুলো এসেছে আমার ওপর। হয়তো সামনেও আসবে।
তিনি বলেন, আমি এটা নিয়ে পরোয়া করিনি পরোয়া করবো না আমি আমার পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান সেটাও করে দিয়ে গেলাম।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনো সচল আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যদিও করোনাভাইরাস অতি মারি সেই সঙ্গে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ, আমেরিকা প্রদত্ত স্যাংশন, ইউরোপের স্যাংশন এবং কাউন্টার স্যাংশন যার ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে, গ্রেট ব্রিটেনের মতো দেশও নিজেদের অর্থনৈতিক মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আল্লাহর রহমতে এখনো আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।