চট্টগ্রামে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই আ’লীগ-বিএনপির রাজনীতি
- আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১৬২৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে বড় দুই রাজনৈতিক দল- আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সহযোগী সংগঠনগুলোর অবস্থাও একই। দীর্ঘদিন কমিটি পুণর্গঠন না হওয়ায় ত্যাগী নেতাকর্মীরা বঞ্চিতই থাকছেন। এতে হতাশা ঘিরে ধরছে কর্মীদের। ধীরে ধীরে যা উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন নেতারা। তাই আসন্ন সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াতে দুই দলই কমিটি পুণর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা কারণে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে ভোটাররা। রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম স্তিমিত হলে, সৌন্দর্য হারাবে গণতন্ত্র।
সবশেষ ২০০৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে পুর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচিত করেছিলো চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আর সাধারণ সম্পাদক হন কাজী এনামুল হক দানু । ২০১৩ সালে দানুর মৃত্যু হলে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। ২০১৭ সালে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীকে। ১৭ বছরে নতুন পুর্ণাঙ্গ কমিটি পায়নি দলটি। দু’বছর ধরে বাববার তারিখ দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ প্রায় সবকটি অংগ ও সহযোগী সংগঠনের চিত্রও এমনই।
তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া বেশ জোরে-শোরেই চলছে বলে দাবি নেতাদের।
কমিটি গঠনের দিক থেকে আওয়ামী লীগের চেয়ে একটু এগিয়ে বিএনপি। দলটির সবশেষ পুর্ণাঙ্গ কমিটি হয় ২০১৭ সালে। যাতে সভাপতি হিসেবে ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন আবুল হাশেম বকর। নির্ধারিত সময়ের পর ওই কমিটি ভেঙ্গে ডা. শাহাদাতকে আহবায়ক ও আবুল হাশেম বকরকে সদস্য সচিব করা হলেও দুই বছরে পুর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি দলটি। অঙ্গ ও সহোযোগী সংগঠন গুলোর কার্যক্রমও চালাচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির নেতারা।
নির্বাচনের আগে সরকার পতন আন্দোলন জোরদার করতে শিগগিরি নতুন কমিটি করা হবে বলে জানিয়েছেন নগর বিএনপির আহবায়ক।
রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, যৌক্তিক অনেক কারনে রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়ছে মানুষ। গণতন্ত্র সুসংহত করতে রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আরও সক্রিয় হতে হবে।