ঝিনাইদহে বাঁওড় ইজারার সিদ্ধান্তে পথে বসবে ১ হাজার জেলে পরিবার
- আপডেট সময় : ০৩:১৭:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৬১৩ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের ৬টি বাঁওড় ইজারার সিদ্ধান্তে পথে বসার আশংকায় দিন কাটাচ্ছে ১ হাজারের বেশি পরিবার। ইজারা দেয়া হলে কর্মহীন হয়ে পড়বে এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জেলেরা। পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবে তাদের সংসার, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারগুলো। তাই বাঁওড়গুলো ইজারা দেয়ার সিন্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবী তাদের।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের বলুহর বাঁওড়। আদিপুরুষ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই বাঁওড়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছে বাঁওড়পাড়ের ৪ শতাধিক পরিবার। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে কোনমত সংসার চলে হতদরিদ্র এই পরিবারগুলোর। কিন্তু সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিনে থাকা বাঁওড়টি ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তে দিশেহারা হয়ে পেড়েছে তারা। বাঁওড়টি ইজারা হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়বে এই পরিবারগুলো।
বলুহরের মত পার্শবর্তী জয়দিয়া, মহেশপুরের কাঠগড়া, ফতেপুর ও কালীগঞ্জের মর্জাদ বাঁওড়গুলোও দেওয়া হবে ইজারা। এতে কর্মহীন হওয়ার আংশংকা রয়েছে ৬ টি বাঁওড়ের উপর নির্ভর করা ১ হাজারের বেশি পরিবারের। জেলেদের দাবি বাঁওড়গুলো ইজারার সিদ্ধান্ত বাতিল করে মৎস্য অধিদপ্তরের সাথে থাকা চলমান চুক্তি বৃদ্ধি করতে হবে।
জেলেদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে বিষয়টি সমাধানে সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিনে থাকা এই বাঁওড়গুলো ১৯৭৮ সাল থেকে চুক্তির মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাঁওড়পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে মৎস্য বিভাগ। কয়েকদফা বাড়ানোর পর আগামী ১৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে এই চুক্তির মেয়াদ।