তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে
- আপডেট সময় : ০৪:৫৮:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৫৯৯ বার পড়া হয়েছে
তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এই সংখ্যা জানিয়েছে তুর্কি ও সিরীয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, তীব্র শীতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যহত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পের কারণে সেখানকার সবাই কোনো না কোনোভাবে সংকটে পড়েছেন। দুই দেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লাখো মানুষ এখন খোলা আকাশের নিচে আছেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১৫ বছরের মেয়ের হাত শুধু বের হয়ে আছে। সেই হাত ধরে বসে আছেন বাবা মেসুত হানসার। তুরস্কের এই শহরের এই দৃশ্য ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর করুণ পরিস্থিতির প্রতীক হয়ে আছে।
চারিদিকে শুধুই ধ্বংসস্তুপ। এ যেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত কোন এলাকা। কে বলবে ২ দিন আগেও এখানে ছিল প্রাণের চাঞ্চল্যতা। এখন তা পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। পাখির চোখে ফুটে উঠেছে অন্য এক তুরস্ক-সিরিয়া।
তুরস্কে এখন প্রচণ্ড শীত এবং তুষার ঝড় হচ্ছে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে জরুরি উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই তীব্র শীতের মধ্যেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখাছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। কারণ সময় যত পার হচ্ছে ততই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়াদের বেঁচে থাকার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
ভেঙ্গে পড়া ভবনের নীচে আটকে আছেন হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে করুন। স্বেচ্ছাসেবীরা সুড়ঙ্গ খুড়ে শিশুদের উদ্ধার করছেন। জীবিত অবস্থায় একের পর এক শিশু উদ্ধারে মহান আল্লাহকে ধন্যবাদ দিতে ভুলেননি তারা।
ধসে পড়া ভবনে কেউ জীবীত আছেন কি না…. তা জানার চেষ্টা করছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, এমন বিপর্যয় তারা আগে কখনো দেখেননি। সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন আটকে পড়াদের উদ্ধারে।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে ৩ মাসের জন্য, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানএ ঘোষণা দিয়েছেন ।
ভূমিকম্পের পরই তুরস্কের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ। অন্তত ৭০টি দেশ থেকে ইতোমধ্যে তুরস্কের জন্য সহযোগিতা পাঠা হয়েছে।