ফারদিন হত্যা মামলা: ‘নারাজি’ দিতে সময় চেয়েছেন বাবা
- আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৬২২ বার পড়া হয়েছে
বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় ডিবির দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আপত্তি জানিয়ে ‘নারাজি’ আবেদন দিতে সময় চেয়েছেন তার বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা৷
আজ মঙ্গলবার তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. শান্ত ইসলাম মল্লিক তা মঞ্জুর করে আগামী ১৬ মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ রাখেন৷
এদিন ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবির দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল৷ পরে নারাজি দেওয়ার কথা জানিয়ে সময় চায় বাদীপক্ষ৷
মামলার বাদী কাজী নুরউদ্দিন বলেন, তারা নারাজি আবেদন দিতে চাইলেও এখনো মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পাননি৷
তার আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হীরন বলেন, ‘‘কেন আমাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরবরাহ করা হচ্ছে না, বুঝতে পারছি না৷ অথচ সেটি পাওয়ার একশতভাগ অধিকার রয়েছে বাদীর৷”
ফারদিন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি বুশরা মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেন৷ তার পক্ষে স্থায়ী জামিন চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান৷ শুনানি শেষে আদালত আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন৷
ফারদিন হত্যা মামলায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার৷
সেখানে বলা হয়, ‘‘স্পেনে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার বিমান ভাড়া সংগ্রহ করতে না পারা, ছোট দুই ভাইকে টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ জোগানোয় সংগ্রাম করতে হওয়াসহ নানা কারণে হতাশা থেকে ফারদিন আত্মহত্যা করেন৷”
বুয়েটের পুরকৌশলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন (২৪) বিতার্কিক ছিলেন৷ গত বছরের ডিসেম্বরে স্পেনের এক অনুষ্ঠানে তার যাওয়ার কথা ছিল৷
তার এক মাস আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ফারদিন৷ বাবা-মার বড় ছেলে ফারদিন কোনাপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন৷
ফারদিন বেরিয়ে যাওয়ার সময় মাকে বলে গিয়েছিলেন, পরদিন তার পরীক্ষা রয়েছে বলে রাতে বুয়েটের হলেই থাকবেন৷ পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরবেন৷
কিন্তু পরদিন পরীক্ষায় তার অনুপস্থিত থাকার খবর জেনে খোঁজাখুজি করেও ছেলেকে না পেয়ে থানায় জিডি করেন নূরউদ্দিন রানা৷ তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ফারদিনের লাশ পাওয়া যায়৷
এরপর ১০ নভেম্বর নূরউদ্দিন রানা হত্যা মামলা করেন৷ তাতে আসামি করেন বুশরাকে, যার সঙ্গে ফারদিন দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ছিলেন৷ তখন পুলিশ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে, হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করে৷
ফারদিনের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠে৷ র্যাব প্রথমে দাবী করেছিলো তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ তবে পরে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয় যে সে আত্মহত্যা করেছে৷
পরবর্তীতে ফারদিন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন জানিয়ে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে বুশরাকে জামিন দেয় আদালত৷