রাজনৈতিক প্রজ্ঞা-দূরদর্শিতায় ৭১’র ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু
- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
- / ১৭৬৭ বার পড়া হয়েছে
আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন রেসকোর্স আর বর্তমানে সোহরাওয়াদী উদ্যানের এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। ইতিহাসবিদদের মতে, বঙ্গবন্ধুর সেদিনের জ্বালাময়ী ভাষণে ছিল প্রখর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা, যা শুধু বাংলাদেশের নয়, পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী মানুষের জন্য বার্তা বহন করে। আর সে কারণেই সভ্যতার আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসের সেরার স্বীকৃতি পেয়েছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ।
৭ই মার্চ ১৯৭১। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান।ঘড়ির কাটায় সময় তখন বিকাল ৩টা ২০ মিনিট। মঞ্চে উঠেন বঙ্গবন্ধু। আর সামনে তখন লাখ লাখ মুক্তিকামি জনতা। অপেক্ষা শুধু প্রিয় নেতার দিক নির্দেশনার।
সেদিন বিদেশী সাংবাদিকরা অবাক হয়ে দেখেন, বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে মানুষের উচ্ছ্বাস ও আবেগ। কেউ গাছে, কেউ ছাদে, যে যেভাবে পারছে দেখতে চাইছে প্রিয় নেতাকে। শুনতে চেয়েছে তার কথা।
ডায়াসের উপর ভারি ফ্রেমের চশমাটি রেখে জাতির পিতা দেন কালজয়ী সেই ভাষণ। ১৮ মিনিটের যে ভাষণে ছিল শোষিত নির্যাতিত বাঙালীর নিষ্পেষিত জীবনের হাহাকার আর গণতন্ত্রের উপর চাপিয়ে দেওয়া সামরিক শাসনের প্রতিবাদ।
বক্তব্যে স্পষ্ট হয় ক্ষমতার লালসা যাঁকে স্পর্শ করেনি, মাতৃভূমির প্রতি গভীর টান ও জনতার প্রতি ভালবাসাই যার দুর্বলতা, তিনি ছিলেন শেখ মুজিব। রক্ত দিয়ে যিনি শোধ করতে চেয়েছেন, রক্তের ঋণ তিনিই বঙ্গবন্ধু।
সবশেষ মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা কোটি বাঙালীর মুক্তির দিক নির্দেশনা দেন বঙ্গবন্ধু।
জাতির পিতার সেই ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের মৃত্যুভীতি উপেক্ষা করে ঝাপিয়ে পড়ে। তারপর আন্দোলনের সিড়ি বেয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। লাল সবুজের পতাকা হয় স্বাধীন সার্বোভৌম বাংলাদেশের