পদ্মা অয়েলে অভিনব কায়দায় প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা লুটপাট
- আপডেট সময় : ০১:৫০:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬০২ বার পড়া হয়েছে
রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েলে শুধু পরিবহন খাতেই প্রতিমাসে লুটপাট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এই কাণ্ডে সরাসরি জড়িত কোম্পানীর ২২ শীর্ষ কর্মকর্তা। যারা অফিসের কাজে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করার শর্তে কার লোন আর প্রতি মাসে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ তুলছেন কোম্পানী থেকে। অথচ ব্যবহার করছেন সরকারি গাড়ি। অতিরিক্ত এসব গাড়ি আবার কর্মচারী এসোসিয়েশন থেকে মোটা টাকায় ভাড়া করছে পদ্মা। অভিনব এই হরিলুটের ঘটনায় হতবাক বিশ্লেষকরা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন পদ্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
পদ্মা অয়েল কোম্পানীর অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ম্যানেজার থেকে শুরু করে এজিএম, ডিজিএম, জিএম ও এমডি পর্যন্ত ৩১ জন কর্মকর্তা একটি করে সরকারী গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। তবে কেউ যদি অফিসের গাড়ি ব্যবহার না করেন, তবে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার জন্য কার লোন ও গাড়িটি রক্ষণাবেক্ষনের জন্য জৈষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে প্রতিমাসে ২৬ হাজার ৫ শো টাকা থেকে ৩৫ হাজার ৪৪৫ শো টাকা পর্যন্ত বিল তুলতে পারেন।
কোম্পানীর অন্তত ২৫ জন কর্মকর্তা এই সুবিধা নিয়েছেন। অথচ তাদের ২২ জনই ব্যবহার করেন একাধিক সরকারী গাড়ি।
সরকারী গাড়ি ব্যবহারকারিদের তালিকায় শীর্ষে আছেন এইচ আর বিভাগের জিএম শহীদুল আলম। GFX-1 নিজের নামে দুটি জিপ বরাদ্দ নিয়েছেন স্ত্রী ও সন্তান ব্যবহার করেন পোলে থাকা আরো দুটি সরকারী গাড়ি। [ফুটেজ-২] জিএম নুমান আহমেদ তফাদার, GFX-2 আলমগীর চৌধুরী GFX-3 অলি আবসার GFX-4 সুলতান মাসুদসহ GFX-5 ২২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একাধিক সরকারী গাড়ি ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। এতে হতবাক বিশ্লেষকরা।
এতোগুলো গাড়ির যোগান আসে কোত্থেকে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেরিয়ে এলো চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য। কর্মচারীদের সংগঠন এমপ্লয়ীজ আরবান কো-অপারেটিভ সোসাইটির কাছ থেকে টেন্ডার ছাড়াই মোটা টাকায় ১১টি গাড়ি ভাড়া নিয়ে চাহিদা মেটায় প্রতিষ্ঠানটি।
বিষয়টি জানা নেই জানিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
একাউন্টস ও হিসাব বিভাগের তথ্য বলছে, প্রকল্প বাদে শুধু অফিসিয়াল কাজ পরিচালনার জন্য মাসে অন্তত এক কোটি টাকা খরচ হয় পরিবহন খাতে।