অনিয়ম আর দুর্নীতি যেন আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে পদ্মা অয়েলকে
- আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬০৮ বার পড়া হয়েছে
অনিয়ম আর দুর্নীতি যেন আষ্টে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে রাষ্ট্রীয় তেল বিপনন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েলে। চাকরিবিধি, প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম এমনকি বিপিসির নির্দেশনাও কেয়ার করেন না তারা। কর্মস্থল ঢাকায় অথচ অফিস করছেন চট্টগ্রামে।ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে, ওএসডি হওয়া কর্মকর্তা স্বপদে ফিরে ছড়ি ঘোড়াচ্ছেন প্রতিষ্ঠানে। তেল ও বিটুমিন চুরির সঙ্গে জড়িতরাও পাচ্ছে প্রাইজ পোস্টিং। এতে হতবাক দুদকের আইনজীবীরা। আর আগে অনিয়ম-দুর্নীতি হলেও এখন সব ঠিক আছে বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানের এমডি।
জিএম পদে পদোন্নতি পেয়েও ডিজিএমের পদ, অফিস ও গাড়ি দখল করে রাখা পদ্মা অয়েল কোম্পানীর কর্মকর্তা জিয়াউল হাসানকে নিয়ে এসএ টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর তোলপার শুরু হয় জ্বালানী খাতে। দখল করে রাখা চেয়ার, গাড়িসহ সবকিছুই ছাড়তে হয় তাকে। এরপর বেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গেল বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ঢাকার পিতলগঞ্জ থেকে কুর্মিটোলা পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন তিনি। ফুটেজ-২ প্রতি মাসে অন্তত অর্ধেক সময় ঢাকায় থাকার কথা বলে, হোটেল বিল ও বিমান ভাড়া দেখিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা তুলেছেন কোম্পানী থেকে। সাম্প্রতি সেসব বিল ভাউচারের সবই ভুয়া বলে প্রমাণ পেয়েছে এ্যাকাউন্টস। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন জিয়াউল হাসান।
আর কোম্পানীটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি, আগে অনিয়ম দুর্নীতির সুযোগ থাকলেও গেলো জানুয়ারিতে তিনি যোগ দেয়ার পর সবকিছু ছহি ছালামতেই চলছে।
মানবসম্পদ বিভাগের জিএম হওয়ার সুবাদে শহীদুল আলমের ইশারায় চলতে বাধ্য রাষ্ট্রীয় এই তেল বিপনন প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা কর্মচারী। ফুটেজ-৫ শহীদের আস্থাভাজন হওয়ায় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এক বছরে দুইটি পদোন্নতি পাওয়ার ঘটনা যেমন ঘটেছে। জিএফএক্স-৬ ও ৭ আবার অবসর গ্রহনের পর চার মাস ধরে দায়িত্ব পালন করার নজিরও আছে পদ্মা অয়েলে।