দেশে আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের সব সুচক নিন্মমুখী
- আপডেট সময় : ০১:২১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬৮২ বার পড়া হয়েছে
আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের সব সূচকই এখন নিন্মমুখী। প্রতি বছর ঈদ ও বাজেটের আগে বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যস্ততা বাড়লেও এবারের চিত্র আলাদা। চট্টগ্রাম বন্দরের পরিসংখ্যন বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানী কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। আর আমদানী কমেছে অন্তত ৩০ শতাংশ। যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবহারকারিরা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, যুদ্ধের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির এই ধারা চলতেই থাকবে।
গেলো বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় নোঙ্গোর করে এক হাজার ১১১ টি জাহাজ পণ্যবাহী জাহাজ। এতে ৩ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার ২৪৮ টন খোলা পণ্যের পাশাপাশি ৮ লাখ ১৭ হাজার ৩৬৩ টিউস কন্টেইনার ওঠা নামা করে।
আর চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এক হাজার ৩০টি জাহাজে ২ কোটি ৯৫ লাখ ৩২ হাজার ৩১৮ টন খোলা পণ্য ও ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৯১ টিউস কন্টেইনার ওঠা নামা করে। প্রবৃদ্ধির হিসেবে যা ৩৫ শতাংশ কম। আর আলাদা করে হিসেবে কষলে, আমদানী কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি। আর রপ্তানী কমেছে ২০ শতাংশের ওপরে।
৩৮ ধরনের আমদানী পণ্যের পাশাপাশি ৯৯ শতাংশ রপ্তানী পণ্য জাহাজীকরণ করে বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক কর্তৃপক্ষ। সেখানেও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে সমানতালে। সহসা ইতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভবনা দেখছে না বিকডা।
করোনার পর যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অর্ডার কমেছে আশংকাজনকভাবে। এরওপর দেশের বাজারে নানা খাতে খরচ বাড়ায়, প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না দেশিয় উদ্যোক্তারা। আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য কমার এটিও কারণ বলে মনে করেন ব্যবসায়ি নেতারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৫৩ হাজার কন্টেইনার মজুদ করে রাখার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। অন্য বছর এই সময়ে কমপক্ষে ৪৫ হাজার কন্টেইনারের স্তুপ থাকলেও, এবার তার পরিমান নেমেছে ৩৫ হাজারের নিচে।