ঝিনাইদহে খাল পাড় দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ দোকান-পাট
- আপডেট সময় : ০৩:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬০৩ বার পড়া হয়েছে
খাল ভরাট, সংস্কার না করা, বেদখল, সেচ পাম্প বিকলসহ নানা সমস্যায় কার্যকারিতা হারাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ গঙ্গা-কপোতাক্ষ জিকে সেচ প্রকল্প। এতে ব্যাহত হচ্ছে ধান-পাট-গমসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন। ডিজেলচালিত শ্যালোমেশিন বসিয়ে সেচ দেয়ায় বাড়ছে খরচ।
ফসল উৎপাদনে জিকের পূর্বের অবস্থা ফেরাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেছেন কৃষকরা। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জিকের দুর্দিন ঘোচাতে সংস্কার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। খাল পাড় দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ দোকান-পাট। ভেঙ্গে গেছে পাড়াপাড়ের ব্রীজ। বন্ধ হওয়ার উপক্রম পানি সরবরাহ। বিকল হয়ে গেছে স্লুইস গেট। ঝিনাইদহের গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের দশা এখন এমনই।
সংস্কার, সংরক্ষণ আর তদারকি না করায় কার্যকারিতা হারাচ্ছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প। এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরদের। পানি না পেয়ে ডিজেলচালিত শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচের চাহিদা পূরণ করছেন তারা। এতে বাড়ছে ফসল উৎপাদন খরচ। এ অবস্থায় খাল সংস্কারসহ দখলমুক্ত করে পূর্বের অবস্থায় ফেরানোর দাবী কৃষকদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, জিকের যৌবন ফেরাতে ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে। পাশ হলেই মিলবে সুবিধা।১৯৬২ সাল থেকে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার ১৩ উপজেলার প্রায় ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা দিয়ে আসছে দেশের বৃহত্তম এই সেচ প্রকল্প।