পরিবেশ ছাড়পত্র না পাওয়ায়, সীতাকুণ্ড উপকূলে ভাসছে ৪২টি স্ক্যাপ জাহাজ
- আপডেট সময় : ০৩:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
- / ১৭৩৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপকূলে দেড় মাস ধরে ভাসছে ৪২টি স্ক্যাপ জাহাজ। পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না পাওয়ায় কাটা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মাসে ৩ লাখ টন স্ক্র্যাপ লোহার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আর কাঁচামাল সংকটে বন্ধের পথে কয়েকশো রি-রোলিং মিল।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবেশ অধিদফতরের শর্ত মেনে উন্নতির চেষ্টা করলেও, প্রতিষ্ঠানটির অসহযোগীতায় বিপর্যয়ের মুখে পুরো সেক্টর। আর জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের মানোন্নয়নে কাজ করা কর্মীরা বলছেন, পরিবেশ অধিদফতর আর জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের সমন্বয় না থাকায় এমন সংকট তৈরী হয়েছে।
রোববার সকালে সীতাকুণ্ডের এস এন কর্পোরেশন নামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের মর্যাদা দেয় জাপানের ক্লাস এনকে নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এর আগে বাংলাদেশের আরো দুটি শিপ ইয়ার্ড পরিবেশ সম্মতভাবে জাহাজ কাটার এই মর্যাদা লাভ করে। প্রক্রিয়াধীন আছে আরো কয়েকটি ইয়ার্ড।
এরই মাঝে এই শিল্পকে অরেঞ্জজোন থেকে রেড জোনে নামিয়ে আনে পরিবেশ অধিদফতর। ফলে উন্নতির দিকে আসা শিল্পে নেমেছে স্থবিরতা। জাহাজ কাটা বন্ধ থাকায় ইয়ার্ডগুলোতে তৈরী হয়েছে স্ক্র্যাপ লোহার ভয়াল সংকট। বড় বড় রি-রোলিং মিলগুলো আমদানী করে স্ক্র্যাপের চাহিদা মেটালেও মাঝারি ও ছোট আকারের মিলগুলো রয়েছে কাঁচামাল সংকটে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১১ সালে শিপ ইয়ার্ডগুলোকে সরকার শিল্পের মর্যাদা দিলেও এই খাতের উদ্যোক্তারা এটাকে ভাঙ্গারির দোকান বলেই মনে করেন। আর তাই বারবার তাগাদা দিলেও ইয়ার্ডের মানোন্নয়নে বিনিয়োগ করেননি কেউ। একইসাথে খাতা কলমে আইনের মারপ্যাচ ছাড়া শিল্পের মানোন্নয়নে আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসেনি পরিবেশ অধিদফতর।
করোনার পর ডলার সংকট কাটিয়ে গেলো দেড় মাসের ব্যবধানে ৪২টি জাহাজ বিচিং হয়েছে সীতাকুণ্ডের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প এলাকায়। কিন্তু পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না পাওয়ায় সবগুলোই এখন অলস ভাসছে।