০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

এবার জার্মানিতে পার্সেল বিলি করতে আসছে রোবট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩
  • / ১৭৭৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বিশেষ কিছু কাজে রোবট যথেষ্ট উন্নতি করলেও প্রকাশ্য রাজপথে এখনো তাদের দেখা যায় না৷ এবার জার্মানিতে এমন রোবট পার্সেল বিলির কাজ শুরু করতে চলেছে৷ তবে সর্বদা সেটির উপর নজর রাখা হবে৷

ভবিষ্যতের ডেলিভারি সার্ভিস এমন হতে পারে৷ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে চাকার উপর বাক্স বসানো আছে৷ কিন্তু তার ভেতরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অনেক হাইটেক ভরা৷ প্রায় স্বাবলম্বী এই রোবট হয়তো অদূর ভবিষ্যতে জার্মানিতে পার্সেল বিলি করবে৷ তার নাম টেও৷ হে-টেও কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অশ্বিন রামচন্দ্রন বলেন, ‘‘এটা একটা কার্গো-ভিত্তিক অটোনমাস ভেহিকেল৷ একইসঙ্গে হালকা ওজনের বিদ্যুতচালিত যানও বটে৷ পুরোপুরি ইলেকট্রিক শক্তিতে চলে৷ সেন্সর ব্যবহারের ক্ষেত্রে অটোনমাস কারের সঙ্গে অনেক মিল থাকায় সেটি অত্যন্ত নিরাপদ৷ প্রথম এল-ফোর অটোনমাস ভেহিকেল হিসেবে আমরা সেটিকে জার্মানির রাজপথে দেখবো৷”

ক্যামেরা ও সেন্সরের দৌলতে রোবট চারিদিকে সবকিছুই দেখতে পায়৷ পথে কোনো বাধাবিপত্তি, পথচারী বা ট্রাফিক লাইটও চিনতে পারে সেই যন্ত্রমানব৷ তবে একাই পথে নামার ক্ষমতা থাকলেও সেটা কার্যকর করা এখনই সম্ভব নয়৷ অশ্বিন রামচন্দ্রন মনে করেন, ‘‘এখনো এই প্রণালীর প্রতি পুরোপুরি আস্থা রাখার সময় আসে নি৷ তাই মানুষের বুদ্ধির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে, যা সঠিক ফিডব্যাক দিয়ে কম্পিউটরের বুদ্ধিমত্তার সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে৷ অন্যদিকে জার্মানির এক নতুন আইনের আওতায় রাজপথে এল-ফোর অটোনমির অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ সব সময়ে তত্ত্বাবধায়ক রাখতে হবে, যিনি রোবটের দিকে নজর রেখে রোবটের হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷”

শুধু এমন ছোট রোবট নয়, অটোনোমাস বাস, গাড়ি বা ট্রাকও জার্মানির রাজপথে নামতে পারে৷ প্রশ্ন হলো, এমন যান ও রাজপথে বাকি যান বা মানুষ এর ফলে কতটা নিরাপদ থাকবে? ইনোক্যাম এনআরডাব্লিউ সংগঠনের প্রো. লুৎস একস্টাইন মনে করেন, ‘‘এটা এই কারণে নিরাপদ, যে সবার আগে প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে জার্মান ফেডারেল পরিবহণ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেতে হবে৷ আইন অনুযায়ী নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করলে তবেই কোনো যান সেই সবুজ সংকেত পাবে৷ চলার সময়েও নিরাপত্তা বজায় থাকে, কারণ আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে যানের উপর নজর রাখা হবে৷ কঠিন পরিস্থিতিতে রোবট একা সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সেখান থেকে সাহায্য করা হবে৷”

টেও কোনো দুর্ঘটনা ঘটালে তার দায় মালিকের ঘাড়ে পড়বে৷ টেও-কে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ যানপ্রতি একজন করে চালকের আর প্রয়োজন নেই৷ এক জন কর্মী একাধিক রোবট নিয়ন্ত্রণ করবেন৷ ফলে ব্যায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে যাবে৷ ডেভেলপার হিসেবে অশ্বিন রামচন্দ্রনের হাতে আরও অনেক কাজ রয়েছে৷ এখন তিনি প্রোটোটাইপটিকে আরও নিখুঁত করার চেষ্টা করছেন৷ কাজটা মোটেই সহজ নয়৷ হে-টেও কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অশ্বিন অবশ্য বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি বিষয়ই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং৷ তবে আবেগের কারণে আমার বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয় না৷ কঠিন না হলে মজা কীসের!”

প্রোটোটাইপটিকে বাক্সে ভরে এক সপ্তাহ আগে ইটালিতে পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে খোলা রাজপথে টেও প্রথম বার কয়েকটি ট্রিপ শেষ করেছে৷ আধা-স্বাবলম্বী এই রোবট আপাতত পুলিশের পাহারায় থাকলেও তাকে দেখে শিশুরা বেশ আমোদ পাচ্ছে৷ আগামী বছর আর সেই সুবিধা থাকবে না৷ টেও তখন একাই পথে নামার অনুমতি পাবে৷

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

এবার জার্মানিতে পার্সেল বিলি করতে আসছে রোবট

আপডেট সময় : ০৭:১৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বিশেষ কিছু কাজে রোবট যথেষ্ট উন্নতি করলেও প্রকাশ্য রাজপথে এখনো তাদের দেখা যায় না৷ এবার জার্মানিতে এমন রোবট পার্সেল বিলির কাজ শুরু করতে চলেছে৷ তবে সর্বদা সেটির উপর নজর রাখা হবে৷

ভবিষ্যতের ডেলিভারি সার্ভিস এমন হতে পারে৷ বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে চাকার উপর বাক্স বসানো আছে৷ কিন্তু তার ভেতরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অনেক হাইটেক ভরা৷ প্রায় স্বাবলম্বী এই রোবট হয়তো অদূর ভবিষ্যতে জার্মানিতে পার্সেল বিলি করবে৷ তার নাম টেও৷ হে-টেও কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা অশ্বিন রামচন্দ্রন বলেন, ‘‘এটা একটা কার্গো-ভিত্তিক অটোনমাস ভেহিকেল৷ একইসঙ্গে হালকা ওজনের বিদ্যুতচালিত যানও বটে৷ পুরোপুরি ইলেকট্রিক শক্তিতে চলে৷ সেন্সর ব্যবহারের ক্ষেত্রে অটোনমাস কারের সঙ্গে অনেক মিল থাকায় সেটি অত্যন্ত নিরাপদ৷ প্রথম এল-ফোর অটোনমাস ভেহিকেল হিসেবে আমরা সেটিকে জার্মানির রাজপথে দেখবো৷”

ক্যামেরা ও সেন্সরের দৌলতে রোবট চারিদিকে সবকিছুই দেখতে পায়৷ পথে কোনো বাধাবিপত্তি, পথচারী বা ট্রাফিক লাইটও চিনতে পারে সেই যন্ত্রমানব৷ তবে একাই পথে নামার ক্ষমতা থাকলেও সেটা কার্যকর করা এখনই সম্ভব নয়৷ অশ্বিন রামচন্দ্রন মনে করেন, ‘‘এখনো এই প্রণালীর প্রতি পুরোপুরি আস্থা রাখার সময় আসে নি৷ তাই মানুষের বুদ্ধির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে, যা সঠিক ফিডব্যাক দিয়ে কম্পিউটরের বুদ্ধিমত্তার সম্পূরক হিসেবে কাজ করবে৷ অন্যদিকে জার্মানির এক নতুন আইনের আওতায় রাজপথে এল-ফোর অটোনমির অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ সব সময়ে তত্ত্বাবধায়ক রাখতে হবে, যিনি রোবটের দিকে নজর রেখে রোবটের হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷”

শুধু এমন ছোট রোবট নয়, অটোনোমাস বাস, গাড়ি বা ট্রাকও জার্মানির রাজপথে নামতে পারে৷ প্রশ্ন হলো, এমন যান ও রাজপথে বাকি যান বা মানুষ এর ফলে কতটা নিরাপদ থাকবে? ইনোক্যাম এনআরডাব্লিউ সংগঠনের প্রো. লুৎস একস্টাইন মনে করেন, ‘‘এটা এই কারণে নিরাপদ, যে সবার আগে প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে জার্মান ফেডারেল পরিবহণ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র পেতে হবে৷ আইন অনুযায়ী নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করলে তবেই কোনো যান সেই সবুজ সংকেত পাবে৷ চলার সময়েও নিরাপত্তা বজায় থাকে, কারণ আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে যানের উপর নজর রাখা হবে৷ কঠিন পরিস্থিতিতে রোবট একা সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সেখান থেকে সাহায্য করা হবে৷”

টেও কোনো দুর্ঘটনা ঘটালে তার দায় মালিকের ঘাড়ে পড়বে৷ টেও-কে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ যানপ্রতি একজন করে চালকের আর প্রয়োজন নেই৷ এক জন কর্মী একাধিক রোবট নিয়ন্ত্রণ করবেন৷ ফলে ব্যায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কমে যাবে৷ ডেভেলপার হিসেবে অশ্বিন রামচন্দ্রনের হাতে আরও অনেক কাজ রয়েছে৷ এখন তিনি প্রোটোটাইপটিকে আরও নিখুঁত করার চেষ্টা করছেন৷ কাজটা মোটেই সহজ নয়৷ হে-টেও কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অশ্বিন অবশ্য বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি বিষয়ই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং৷ তবে আবেগের কারণে আমার বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয় না৷ কঠিন না হলে মজা কীসের!”

প্রোটোটাইপটিকে বাক্সে ভরে এক সপ্তাহ আগে ইটালিতে পাঠানো হয়েছে৷ সেখানে খোলা রাজপথে টেও প্রথম বার কয়েকটি ট্রিপ শেষ করেছে৷ আধা-স্বাবলম্বী এই রোবট আপাতত পুলিশের পাহারায় থাকলেও তাকে দেখে শিশুরা বেশ আমোদ পাচ্ছে৷ আগামী বছর আর সেই সুবিধা থাকবে না৷ টেও তখন একাই পথে নামার অনুমতি পাবে৷

ডয়চে ভেলে