আমদানীর ঘোষণার ক’দিনের মধ্যেই আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ
- আপডেট সময় : ১২:৫৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
- / ১৬৯৮ বার পড়া হয়েছে
পেঁয়াজের দাম কমাতে সরকারের আমদানীর ঘোষণার ক’দিনের মধ্যেই বাজারে আবার উল্টো চিত্র। ৮০ টাকা কেজিতে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। চিনি তো আগেই উধাও। এদিকে, কোরবানির ঈদের বাকি আর এক মাস। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে সব রকমের গরম মশলার দাম। মাছ-মাংসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে। ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা মজুদ করে দাম বাড়ালেও সরকার সেখানে হাত দেয়
কোরবানির ঈদের বাকি আর এক মাস। তার আগেই বাড়তি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সব ধরনের মশলার দাম।
গরম মশলা এলাচি’র কেজি ২৬শ’ টাকা। লবঙ্গ ২ হাজার টাকা, জিরা ৮৬০ টাকা, আদা ৩শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, ডলার সংকটে আমদানি করতে না পারায় দাম বেশি।
সরকারের একাধিক মন্ত্রী পেঁয়াজের দাম কমার আশ্বাস দিলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো আমদানি শুরু না হওয়ায় সুযোগ নিচ্ছেন আড়তদাররা।
পেঁয়াজের মৌসুম শেষে এলসি বন্ধ করে দাম বাড়ানোর সুযোগ দেয়ায় কৃষকের পরিবর্তে এখন সিন্ডিকেট লাভবান হচ্ছে বলে মনে করেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, পেঁয়াজের মৌসুমে আমদানীর এলসি চালু রেখে কম দামে কৃষকদের পেঁয়াজ বিক্রিতে বাধ্য করে- এখন সরকার সুযোগ দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের।
এদিকে বাজারে মিলছে না চিনি। ১২৫ টাকায় কেনা প্রতিকেজি চিনি সরকার নির্ধারিত এক টাকা লাভে ১২৬ টাকায় বিক্রি করতে নারাজ খুচরা ব্যবসায়ীরা।
মাছ-মাংসের দাম অনেক আগেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
চাল আটার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বোরো মৌসুমেও চালের দাম আগের মতোই আছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।
কাঁচা বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণে কৃষিতে মূল্য কমিশন গঠনের দাবি সাধারণ মানুষের।