কাঁচা চা পাতার দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা
- আপডেট সময় : ০৩:২০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
- / ১৬৮৪ বার পড়া হয়েছে
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলার সমতল ভুমিতে বাড়ছে চা চাষ। ক্ষুদ্র চাষিরা বাড়ির আনাচে কানাচে গড়ে তুলছেন চা বাগান। প্রতিবছর উৎপাদনও বাড়ছে চায়ের। নানা স্বাদের চা উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে সমতলের চা। তবে কাঁচা চা পাতার দাম নিয়ে হতাশ চাষিরা। তারা বলছেন, উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় চা চাষে লোকসান গুণতে হচ্ছে। সকল প্রস্তুতি শেষ হলেও এখনো চা নিলাম কেন্দ্র চালু হয়নি। নিলামকেন্দ্র চালু হলে সংকট কেটে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে চা চাষ শুরু হয় ২০০০ সালে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় চা চাষে ঝুকে এলাকার কৃষকরা । পঞ্চগড়ের পর ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় ক্ষুদ্র আকারে চা বাগান করেন কৃষকেরা। সরকারও নানা সহযোগিতা দেয় তাদের। ফলে চায়ের উৎপাদন বেড়ে যায়।
২০২৩ সালে ২ কোটি তৈরী চা পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে । ২০২২ সালে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি তৈরী চা উৎপাদন হয়েছে, যার প্রায় পুরোটাই বিভিন্ন দেশে রপ্তানী হয়েছে। চা শিল্পকে কেন্দ্র করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হযেছে। কিন্তু কাঁচা চা পাতার নায্য মুল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
তবে চাষিদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কারখানা মালিকেরা। তারা বলছেন, চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে চায়ের চাহিদা কম।
সরকার পঞ্চগড়ে তৃতীয় চা নিলামকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। নিলামকেন্দ্রটি চালু হলে চা নিয়ে সৃষ্ট সংকট কেটে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
ভালো মানের চা উত্তোলন করার জন্য চা চাষিদের নানা রকম সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়।