২০তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডের সহযোগী পার্টনার রয়্যাল ক্যাফে
- আপডেট সময় : ০৭:০৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
- / ১৭৯১ বার পড়া হয়েছে
দুই বাংলার তারকাদের নিয়ে কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো ভারতের ‘টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডের ২০তম আসর’। কলকাতার একাধিক তারকার পাশাপাশি এবারের সেরার পুরস্কার উঠে বাংলাদেশের শিল্পীদের হাতেও। সেই তালিকায় রয়েছেন ছয় বাংলাদেশী জনপ্রিয় তারকা। এছাড়া বর্ষীয়ান অভিনেতা আফজাল হোসেন পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা।
টেলিসিনের এই মহাযজ্ঞে এবার সহযোগী পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় কফি ব্র্যান্ড ‘রয়্যাল ক্যাফে’। অভিনেতা ওম ও অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের যৌথ পারফরম্যান্স দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। গত রোববার কলকাতার নজরুল মঞ্চে এক আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার৷ তিনি কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা বসুর হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন৷
টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড নিয়ে প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার বলেন, ‘টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড দুই বাংলায় সমানভাবে জনপ্রিয় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। এছাড়াও বহু গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রীদের টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড আজীবন সম্মানিত করেছে। দুই বাংলার ইতিহাসেও এটি বেশ পুরনো অনুষ্ঠান। রয়্যাল ক্যাফে দ্বিতীয় বারের মত এমন উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে আনন্দিত।’
তিনি আরও বলেন, রয়্যাল ক্যাফের সাথে টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড এমন বন্ধনে জড়িয়েছে যেন মনে হয় আমরা একই পরিবার। আমি বিশ্বাস করি টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড পরিবারের সাথে আমাদের পথচলা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশের জনপ্রিয় কফি ব্র্যান্ড ‘রয়্যাল ক্যাফে’ বাংলাদেশের চাহিদা পূরণ করে আমরা ভারতেও আমাদের চা ও কফি এক্সপোর্ট করার পক্রিয়া শুরু করতে পারবো।’
এছাড়াও প্রদ্যুৎ কুমার ১৯তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড এর মঞ্চেও কলকাতার জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী শুভাশিস মুখার্জি ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
অনুষ্ঠানের কর্নধার মৃণ্ময় কাঞ্জিলাল জানান, ‘এই কুড়ি বছরে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। সবাইকে সাথে পেয়েছি এই পথ চলায়। আজ দেখতে দেখতে কুড়ি বছরে পা দিলাম। যারা ভোট দিয়েছেন, যারা পুরস্কার পেয়েছেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক ভালোবাসা সবার জন্য’।
এবারের আসরে সেরা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও অভিনেত্রী হয়েছেন বিদ্যা সিনহা মিম। সেরা গায়িকা ও গায়কের পুরস্কার পেয়েছেন যথাক্রমে সামিনা চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার। একই আয়োজনে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন বাপ্পী চৌধুরী।
২০তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড’স এর মঞ্চে বেস্ট সিনেমা পপুলার ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পায় অভিজিৎ সেনের সিনেমা ‘প্রজাপতি’, বেস্ট ফিল্ম জুরির পুরস্কার পায় অনীক দত্তের সিনেমা ‘অপরাজিত।
ওয়েবসিরিজের সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। সেরা প্রমিসিং ডিরেক্টর পুরস্কার পান পরিচালক অভিজিৎ সেন, সেরা সাপোর্টিং অভিনেতার পুরস্কার পান অভিনেতা খরাজ মুখার্জী, বেস্ট চাইল্ড অভিনেতা পুরস্কার পায় সামন্তক দ্যুতি মিত্র।
পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল পুরস্কার পান সংগীত পরিচালক রনজয় ভট্টাচার্য। তৃতীয় বারের মতো টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ডস পাওয়া উচ্ছ্বসিত চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘দেবী’, ‘আয়নাবাজি’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছি। এ সম্মাননা ভালো কাজের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।
পুরস্কার পেয়ে উচ্ছ্বসিত নায়ক বাপ্পা লিখেছেন, ‘আপনাদের সবার ভালোবাসায় বাংলা মিউজিকে বিশেষ অবদানের জন্য আমি ২০তম টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ প্রাপ্ত হয়েছি।
বাপ্পা আরও বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই জুরি বোর্ড এবং এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার প্রতি। সেইসঙ্গে আমার সকল শ্রোতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য রইল প্রাণঢালা ভালোবাসা। সবাই ভালো থাকবেন, বাংলা গানের সঙ্গে থাকবেন।’
চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী ফেসবুক হ্যান্ডেলে লিখেন, অর্জন সবসময়ই ভালোলাগার আর যদি সেটা হয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে ভিন্ন দেশ থেকে কাজের স্বীকৃতি তাহলেতো কথাই নেই। টেলি সিনে এওয়ার্ড এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি দেবাশিষ বিশ্বাস পরিচালিত শশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২ এর জন্য আমাকে এভাবে সম্মানিত করার জন্য। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন, ইউথ ফর বাংলাদেশ ফেসবুক ভিত্তিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শিহানুর রহমান আসিফ। যাদের ‘ভালো কাজের হোটেল’ প্রজেক্ট বেশ সাড়া ফেলেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর একই মঞ্চে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কারে ভূষিত হন তারকা দম্পতি রুনা লায়না ও আলমগীর।