হাজীগঞ্জে প্রতি বছর কমছে কৃষি জমি
- আপডেট সময় : ০২:৩১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
- / ১৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
আবাসিক প্রকল্পের নামে ভরাট করা হচ্ছে ফসলি জমি। ফলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে প্রতি বছর কমছে কৃষি জমি। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানেও রক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রশাসন বলছেন, শুধু অভিযান করে কৃষি জমি রক্ষা করা সম্ভব নয়। প্রয়োজন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদের সমন্বয়।কৃষি ও বৈদেশিক মুদ্রার উপর নির্ভর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা। বিশ্বমন্দায় বৈদেশিক মুদ্রায় কিছুটা ভাটা পড়ছে। পাশাপাশি গত দুই বছর ধরে এই উপজেলায় ড্রেজার ও বেকু দিয়ে কৃষি জমি ভরাটের হিড়িক পড়েছে। এতে একদিকে গ্রামের শ্রমজীবী মানুষ হারাচ্ছে কর্ম।
অন্যদিকে কমছে ফসল আবাদ। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে একটি দালাল চক্র জমির মালিকদের সাথে আঁতাত করে ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করছে।উপজেলা ১১নম্বর হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির লিটন হঠাৎ ফসলি জমি ভরাট করার মহাউৎসবে মেতে উঠেছেন। প্রবাসীদের টাকা হাতিয়ে নিতে আড়াখাল মাঠ, রায়চোঁ মাঠ, মিঠানিয়া মাঠে আবাসিক প্রকল্পের নামে কৃষি জমি ভরাটের ফাঁদ তৈরি করেছে ভূমি খেকোরা।
যিদও ফসলি জমি ধ্বংসের খবর পাওয়া মাত্রই অভিযান চালানো হয় । তবে কৃষি জমি সুরক্ষা খসড়া আইন ২০১৫, পরিপূর্ণ আইনে রুপান্তর হলে কৃষি জমি রক্ষা সহজ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।কৃষি জমি রক্ষা করাটা চ্যালেঞ্জ। এখানে প্রত্যাশিত মাত্রানুযায়ী ফল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসন একা চেষ্টা করলে কৃষি জমি রক্ষা করা সম্ভব নয়। সবার চেষ্টা থাকতে হবে বলে জানান উপজেলা প্রাশাসনের এই কর্মকর্তা।চলতি বছরের পাঁচ মাসে হাজীগঞ্জ উপজেলায় কৃষি জমি রক্ষায় ২৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে ১২টি অভিযানে ড্রেজারের সরঞ্জাম বিনষ্টসহ ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে প্রশাসন।