কৃত্রিম সংকটে কোরবানীর ঈদের মসলার ৩৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধি
- আপডেট সময় : ০৮:০০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুন ২০২৩
- / ১৫৭৬ বার পড়া হয়েছে
কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে এক সপ্তাহর ব্যবধানে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ দাম বেড়েছে কোরবানীর ঈদে চাহিদা সম্পন্ন সব মসলার। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। প্রশাসনের দাবি, বাজার অস্থির করায় জড়িত খাতুনগঞ্জের ৬০০ অসাধু ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় তারা। পেলেই নেয়া হবে ব্যবস্থা।
গেলো ৬ মাস ধরেই চিনির বাজার অস্থির। ক’দিন আগে পেঁয়াজের দাম বেড়ে একশো টাকা ছাড়ালে, আমদানী সহজ করায় রাতারাতি দাম কমে অর্ধেকে নামে। আদার বাজারেও কৃত্তিম সংকট তৈরী করে হাতিয়ে নেয়া হয় কোটি কোটি টাকা।
সিন্ডিকেট এবার সওয়ার হয়েছে মসলার ওপর। কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে সব ধরনের মসলায় দাম বাড়িয়েছে তারা। তবে সবচেয়ে বেশি অস্থির জিরার বাজার।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, কতিপয় বড় আমদানীকারক আর কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থির করছে। প্রশাসনের দুর্বল মনিটরিংয়ের কারনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসন বলছে, বাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত খাতুনগঞ্জ কেন্দ্রীক ৬ শো অসাধু ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগিরি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে ক’দিন আগে পাইকারীতে এক হাজার টাকার নিচে বিক্রি হওয়া এলাচ এখন প্রকারভেদে ১৩ শো ৫০ থেকে ১৫শো টাকা; সাড়ে ৭ শো টাকার জিরা, ৯ শো টাকা, ১০০ টাকার গোটা হলুদ ১২৫ টাকা, ৩২০ টাকার দারুচিনি ৪০০ টাকা, ৫০০ টাকার গোলমরিচ ৬ শো ও ১১ শো টাকার লং বিক্রি হচ্ছে ১৩ শো টাকায়। এভাবে কোরবানীর চাহিদাসম্পন্ন প্রতিটি মশলার দাম এখনো উর্দ্ধমুখী।