রাজধানীর হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তে দাম পড়ে গেছে গরুর
- আপডেট সময় : ০৮:২১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
- / ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তে দাম পড়ে গেছে গরুর। দেড় লাখ টাকার গরুর দাম নেমে আসে লাখ টাকারও নীচে। টানা বৃষ্টিতে বাধাগ্রস্ত হয় শেষ দিনে পশুর হাটের বেচাকেনা। দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির জমতে পারেনি গরুর হাট। বৃষ্টির মধ্যে গরু কিনতে যতো না তোড়জোড় ক্রেতাদের, তার চেয়ে গরু ছাড়তেই বেশী আগ্রহী ছিলেন বিক্রেতারা। ফলে একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে ক্রেতা কম থাকায় গরুর দামও কমে যায়। তাই ব্যাপারীদের চোখেমুখে ছিল উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। তবে এবার মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদাই ছিল বেশী। বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়েন খামারীরা।
বৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল আযহা। তাই আগেরদিনে রাজধানীর হাটে, শেষ মুহূর্তে বাড়ে কোরবানীর পশু বেচাকেনা। কিন্তু এতে আনন্দ ছিল না বিক্রেতাদের মুখে। একদিকে বৃষ্টির বাধা, অন্যদিকে এবার শুরুতে দাম বাড়ায় হাটে গরুর তুলনায় ক্রেতা কম থাকায় শেষ মুহূর্তে দাম কমিয়েই গরু ছেড়ে দিতে বাধ্য হন বিক্রেতারা। তাছাড়া এবার দামের কারণে ছোট ও মাঝারী সাইজের গরুর দিকেই ছিল সবার নজর।
আফতাব নগর হাটে শেষ সময়ে একের পর এক কোরবানির পশু কিনে বাড়ী ফেরেন ক্রেতারা। এদিন দাম সহনীয় বলে জানান তারা।
পশুর তুলনায় হাটে ক্রেতা কম। তাই শেষ মুহুর্তের বেচাকেনায় প্রত্যাশিত ক্রেতা না থাকায় বিমর্ষ খামারীরা।
এদিকে, বুধবার সকাল থেকেই ভারী বর্ষণের ফলে রাজধানীর পশুর হাটে বাধ সাধে বেচাকেনা। পুরান ঢাকার হাজারীবাগ ও রহমতগঞ্জ হাটে পশু বিক্রি তেমন না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন খামারী ও ব্যপারীরা। এ সুযোগে শেষ মুহূর্তে দাম কমিয়ে দেয়ায় পশু কিনে খুশী ক্রেতারা।
তেজগাঁ পলিটেকনিক মাঠের হাটেও বেচাকেনা ছিল কম। তবে, ঈদের দিন এবং পরদিনও বিক্রির আশায় ব্যাপারীরা।
বেচাকেনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানালেন ইজারাদাররা। গরুর পাশপাশি দাম পড়ে যায় ছাগলেরও।
রাজধানীর ১৯টি হাটের মধ্যে বেশিরভাগ হাটেই কাঙ্ক্ষিত দামে পশু বিক্রি করতে না পারায় এবার প্রচুর গরু-ছাগল ফেরত নিতে হবে বলেও আশঙ্কা ব্যাপারীদের।