হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চামড়া শিল্পে মিলছে না সুফল
- আপডেট সময় : ০৮:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
- / ১৬৯৮ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার হাজারীবাগ থেকে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চামড়া শিল্প কারখানাগুলো সাভারে স্থানান্তরের পরও মিলছে না সুফল। চামড়া শিল্প নগরে বিসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সিইটিপি প্ল্যান্ট ও পরিবেশগত দিকগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে একদিকে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে চামড়ার শিল্প প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক পরিবেশগত ছাড়পত্র- এল.ডাব্লিউ.জি সার্টিফিকেট না থাকায় আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছে এ খাত। দ্রুতই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।
কোন পরিকল্পনা ছাড়াই শত বছর আগে ঢাকার হাজারীবাগে গড়ে ওঠে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ট্যানারি শিল্প। এরপর দিনদিন এখানে কারখানা বাড়ার পাশাপাশি চামড়ার বর্জ্য পরিশোধনের আধুনিক ব্যবস্থা না থাকায় হুমকির মুখে পড়ে বুড়িগঙ্গা নদীসহ এই অঞ্চলের পরিবেশ।
পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষার পাশাপাশি চামড়াপণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে সাভারে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পরিবেশ-সম্মত চামড়া শিল্পনগরী গড়ে তোলার প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সরকার।
কিন্তু ভুল প্রতিষ্ঠান আর অযোগ্য চীন ঠিকাদার দিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের বদলে এখন উল্টো ডুবতে বসেছে দেশের সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প। বিসিকের আশ্বাসে বিশ্বাস করে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পর এখন পথে বসার উপক্রম ট্যানারীগুলোর। পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে না পারায় চামড়া শিল্পনগরী আজও এলডব্লিউজির সদস্য হতে পারেনি।
চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে বিসিকের কেন্দ্রীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা- সিইটিপি এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টকে আন্তর্জাতিক মানে সম্পন্ন করার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। এজন্য প্রয়োজনে বেজাকে হস্তান্তরের দাবী তাদের।
দেশের চামড়া পাচার রোধে এবং এ শিল্পকে রক্ষায় এল.ডব্লিউ.জি’র মাপকাঠি অনুসরণের মাধ্যমে আগে আন্তর্জাতিক সনদ অর্জন করতে পারলে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের চামড়াপণ্য রপ্তানী করা সম্ভব হবে বলে জানান তারা।