প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দু’দফা বৈঠক
- আপডেট সময় : ০৬:০৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩
- / ১৬২৫ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।
ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দফা বৈঠক করেছেন। এদিন বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেড় ঘণ্টা যাবত দুই দফা বৈঠকে বসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিক সমকাল জানায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান পিটার হাস। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক করেন। পরে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সঙ্গে। দ্বিতীয় বৈঠকটি বেলা ১১টা ৪২ থেকে ১২টা ২৮ মিনিট পর্যন্ত।
চলমান রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলেও সেখানে কী কী বিষয় আলোচিত হয়েছে, জানা যায়নি। এ নিয়ে উভয় পক্ষই নীরবতা অবলম্বন করছে।
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের বাসায় পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে চা-চক্রে যোগ দেন। সকালে ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসভবনে এ বৈঠকে ১২টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও কূটনীতিক যোগ দেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কূটনীতিক দৈনিক সমকালকে বলেন, আগামী সপ্তাহে ইইউর প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ঢাকা আসবে। প্রতিনিধি দলটির কার্যক্রম ও আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চা-চক্রে আলোচনা হয়েছে। এতে অংশ নেওয়া অন্যরা হলেন– ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপি, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সেইজফ্রিড রেংলি, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ক্রিস্টোফার, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দে অ্যাসিস বেনেতিজ সালাস, জার্মানির উপরাষ্ট্রদূত জ্যান জেনোভস্কি, জাপানের উপরাষ্ট্রদূত তাতসুয়া মাচিদা, সুইডেন দূতাবাসের কাউন্সিলর জ্যাকব ইতাত, ইতালির উপরাষ্ট্রদূত মাতিয়া ভেন্তুরা, ব্রিটিশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা সাইমন লিভার ও নেদারল্যান্ডসের উপরাষ্ট্রদূত ম্যাটথিজিস জেল উডস্ট্রা।
এ ছাড়া দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন পিটার হাস। সেখানে নিহত শ্রমিক নেতা মো. শহিদুল ইসলাম ইস্যুতে ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের বলেন, “শহিদুল ইসলাম হত্যার তদন্তের দিকে সতর্ক নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশা, এ মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে; সেই সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন রাতে গাজীপুরের বাগানবাড়ি এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন শহিদুল ইসলাম। বকেয়া বেতনসহ অধিকার আদায়ের আলোচনায় গিয়ে মালিকপক্ষের হাতে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের।
পিটার হাস বলেন, “শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা শহিদুল ইসলামের পরিবারের প্রতি সংহতি জানাতে আজকে এখানে এসেছি। শ্রমিকরা যেখানেই কাজ করুক না কেন, তাদের ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ দিতে হবে। তাদের বেতনের দাবি জানানোর সুযোগ দিতে হবে।”
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, “অবশ্যই এ হত্যার পেছনে কারা রয়েছে, তা অনুসন্ধানের সক্ষমতা তাদের রয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তারা সক্ষম।”
ডয়চে ভেলে