বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কোনো সরকারই সমুদ্রসীমা অর্জনে উদ্যোগ নেয়নি : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০২:০৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
- / ১৬৬৭ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যেসব সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারা সমুদ্রসীমা নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেও সমুদ্রসীমা অর্জন নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা’র কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ৪টি পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোন ও ৪টি যুদ্ধ জাহাজের কমিশনিং করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনী বর্তমানে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠেছে। সমুদ্র রক্ষায় ও যুদ্ধ করতে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বেড়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবেও নৌবাহিনী অনেক এগিয়ে গেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্মার্ট ও আধুনিক বাংলাদেশে রুপ নেবে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের জন্য শুরু হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা’র কার্যক্রম।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘাঁটির কমিশনিং উদ্বোধন করেন। এসময় ৪টি পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোন ও ৪টি যুদ্ধ জাহাজের কমিশনিং করা হয়। ইতিমধ্যে বানৌজা শের-ই-বাংলা কর্তৃপক্ষ শেষ করেছে কমিশনিংয়ের সব কার্যক্রম। খুলনা শীপইয়ার্ডে নির্মিত পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোনগুলো হলো শহীদ দৌলত, শহীদ ফরিদ, শহীদ মহিব্বুল্লাহ, শহীদ আখতারউদ্দিন।
আর ৪টি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি বা এলসিইউ হলো- বানৌজা ডলফিন, তিমি, টুনা ও পেঙ্গুইন। প্রধানমন্ত্রীর কমিশনিংয়ের পর এসব জাহাজ আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করবে। নৌ-বহরে এসব জাহাজ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির নাম ফলক উন্মোচন করেন।