মহাসমাবেশের আগেই নয়াপল্টনে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতি
- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
- / ১৬৭৪ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির মহাসমাবেশের আগেই স্লোগানে মুখর রাজধানীর নয়াপল্টন। তবে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সরে যেতে আহ্বান জানিয়েছে দলটির সিনিয়র নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস মহাসমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বলেন, তাদের পক্ষ থেকে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা নেই। এদিকে, মহাসমাবেশকে ঘিরে একদিন আগেই নয়াপল্টনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
নানা নাটকীয়তার পর, ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নির্ধারণ করে বিএনপি। কিন্তু তার আগেই ঢাকার বাইরে থেকে নেতাকর্মীরা রাজধানীতে চলে আসে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন তারা।
হাজারো নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে নয়া পল্টন এলাকা।
এসময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নেতাকর্মিরা সড়কে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়ায়, রাস্তায় যান চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সর্তক অবস্থানে যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
পৌনে বারোটায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলীয় নেতাকর্মিদের কার্যালয়ের সামনে জড়ো না হওয়ার আহ্বান জানান । উপস্থিত নেতাকর্মীদের দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
জনগনের দুর্ভোগ এড়াতেই বাড়তি নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের কথা জানান মতিঝিল জোনের এডিসি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা না দেয়ার আহবান জানান দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
দুপুরের পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শত শত নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মহাসমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বলেন, তাদের পক্ষ থেকে সহিংসতার কোনো আশঙ্কা নেই।
মহাসমাবেশ ঠেকাতে রাজধানীর প্রবেশ পথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টে বাধা না দেয়া হলে, বোঝা যাবে সরকার গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।