সরকার হটানোর এক দফা দাবিতে রাজধানীর চারটি প্রবেশমুখে অবস্থান নেয় বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী
- আপডেট সময় : ০৭:১০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
- / ১৮৪১ বার পড়া হয়েছে
সরকার হটানোর এক দফা দাবিতে রাজধানীর চারটি প্রবেশমুখে অবস্থান নেয় বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী। সকাল থেকেই ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মাতুয়াইলসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সব জায়গায় সতর্ক অবস্থানে থাকে আইনশৃংখলা বাহিনী। ফলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এর মাঝেই পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের ইটপাটকেল ছোঁড়াছুড়ি। অন্যদিকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল ছোঁড়ে। এতে কয়েকশ জন আহত হন। আটক করা হয়েছে ৯০ জন। আগুন দেয়া হয় তিনটি গাড়িতে।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে, রাজধানী ঢাকার সব প্রবেশমুখে অবস্থান নেয় বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী।
সকাল ১১ টয় ঢাকার যাত্রাবাড়ীর বদলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইলে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলে যায় বিএনপির দখলে।
এ সময় পুলিশ িএনপির নেতাকর্মিদের রাস্তা থেকে সরাতে গেলে, প্রথমে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। বাধে সংঘর্ষ।
ক্ষুব্দ নেতা কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্যকরে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। জবাবে, পুলিশ টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।
রাস্তায় কাঠের গুড়ি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা।
মূল সড়ক ছাপিয়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। পরিস্থাতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি লাঠি-সোটা নিয়ে রাস্তায় নামে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে, সংখ্যা বাড়িয়ে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। তারা ধাওয়া দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপরেও দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ।
সংঘর্ষ চলাকালেই সড়কে আটকে পড়া তিনটি বাসে আগুন দেয়া হয়।
পুলিশ বলছে, যান চলাচল সচল ও জনদুর্ভোগ লাঘব করতে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা।
সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে ধোলাইখাল এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মিদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের সময় আহত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলে, পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
আটকের পর পুলিশ গয়েশ্বর রায়কে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আপ্যায়নের পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
তাইফুর রহমান তুহিন, এসএ টিভি, ঢাকা।