০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

নেকড়ে পর্যবেক্ষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৭৮৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নেকড়েসহ বন্যপ্রাণীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখার কাজটি সহজ নয়৷ তবে বিষয়টি আরেকটু সহজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর উপায় বের করেছেন সুইজারল্যান্ডের একদল তরুণ৷

তাদের একজন অলিভিয়ে স্ট্যালি৷ একটি বাক্স আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নেকড়দের আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে সহায়তা করতে চান তিনি৷ স্ট্যালি বলেন, ‘‘ওয়াইল্ড-লাইফ-বক্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেকড়ের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে৷ গর্জনের কারণে এটা সম্ভব হয়৷ তিন কিলোমিটারের বেশি দূর থেকে নেকড়ের গর্জন শোনা যায়৷ এভাবে আমরা একটা বড় এলাকার অবস্থা জানতে পারি৷ নেকড়ে গর্জন করলে এই বাক্স রিয়েল টাইমে রেঞ্জারকে তা জানিয়ে দেয়৷’’

স্ট্যালির ডিভাইস দিয়ে ৫০০ মিটারের মধ্যে নেকড়ের অবস্থান শনাক্ত করা যায়৷ ‘‘বর্তমানে ক্যামেরা ট্র্যাপের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে নেকড়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে৷ কিন্তু নেকড়েরা এই পদ্ধতি এড়ানো শিখে গেছে৷ তারা ফ্ল্যাশ আর শব্দ পছন্দ করে না, তাই ক্যামেরা ট্র্যাপ কোথায় আছে, তা মনে রাখে, এবং সেগুলো এড়িয়ে চলে৷ আমাদের পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা নেকড়েদের যোগাযোগ শনাক্ত করে তাদের ফাঁদে ফেলতে চাই৷ এভাবে আমরা তথ্য সংগ্রহ করি,’’ বলেন তিনি৷

সুইজারল্যান্ডের লোজান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিলে এই ডিভাইস তৈরি করেছেন স্ট্যালি৷

মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে শব্দগুলো সার্ভারে পাঠানো হয়৷ আর অডিও ফাইলগুলো ইমেজে পরিণত করা হয়৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইমেজগুলো পরীক্ষা করে সেগুলো নেকড়ের গর্জন কিনা, বোঝার চেষ্টা করে৷

রেঞ্জার মার্কো বানসার বলছেন, এই ডিভাইসের কারণে নেকড়ের হামলা ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নেকড়ের পরিবারের উপর নজর রাখা যেতে পারে৷

স্ট্যালি বলছেন, সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি এলাকার কর্তৃপক্ষ ও ডাব্লিউডাব্লিউএফ তাদের ডিভাইসের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে৷ এটি শুধু ইউরোপের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে, এমন নয়৷ তিনি জানান, ‘‘আমাদের মনে হয়েছে, শুধু নেকড়ের মধ্যে থাকলেই চলবে না৷ তাই দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে হাতি, সিংহ ও হায়েনাদের ক্ষেত্রে আমরা এই ডিভাইস পরীক্ষা করে দেখেছি৷ দেখেছি, এটা সফল৷ নভেম্বরে আমরা ভারত যাব৷ সেখানে বাঘ, চিতাবাঘ আর বন্য কুকুরের ক্ষেত্রে এটি পরীক্ষা করে দেখবো৷’’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী রক্ষার কাজটি অনেক সহজ করে দিতে পারে৷

ডয়চে ভেলে

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

নেকড়ে পর্যবেক্ষণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

নেকড়েসহ বন্যপ্রাণীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখার কাজটি সহজ নয়৷ তবে বিষয়টি আরেকটু সহজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানোর উপায় বের করেছেন সুইজারল্যান্ডের একদল তরুণ৷

তাদের একজন অলিভিয়ে স্ট্যালি৷ একটি বাক্স আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে নেকড়দের আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখতে সহায়তা করতে চান তিনি৷ স্ট্যালি বলেন, ‘‘ওয়াইল্ড-লাইফ-বক্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে নেকড়ের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারে৷ গর্জনের কারণে এটা সম্ভব হয়৷ তিন কিলোমিটারের বেশি দূর থেকে নেকড়ের গর্জন শোনা যায়৷ এভাবে আমরা একটা বড় এলাকার অবস্থা জানতে পারি৷ নেকড়ে গর্জন করলে এই বাক্স রিয়েল টাইমে রেঞ্জারকে তা জানিয়ে দেয়৷’’

স্ট্যালির ডিভাইস দিয়ে ৫০০ মিটারের মধ্যে নেকড়ের অবস্থান শনাক্ত করা যায়৷ ‘‘বর্তমানে ক্যামেরা ট্র্যাপের মতো পদ্ধতি ব্যবহার করে নেকড়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে৷ কিন্তু নেকড়েরা এই পদ্ধতি এড়ানো শিখে গেছে৷ তারা ফ্ল্যাশ আর শব্দ পছন্দ করে না, তাই ক্যামেরা ট্র্যাপ কোথায় আছে, তা মনে রাখে, এবং সেগুলো এড়িয়ে চলে৷ আমাদের পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা নেকড়েদের যোগাযোগ শনাক্ত করে তাদের ফাঁদে ফেলতে চাই৷ এভাবে আমরা তথ্য সংগ্রহ করি,’’ বলেন তিনি৷

সুইজারল্যান্ডের লোজান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিলে এই ডিভাইস তৈরি করেছেন স্ট্যালি৷

মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে শব্দগুলো সার্ভারে পাঠানো হয়৷ আর অডিও ফাইলগুলো ইমেজে পরিণত করা হয়৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইমেজগুলো পরীক্ষা করে সেগুলো নেকড়ের গর্জন কিনা, বোঝার চেষ্টা করে৷

রেঞ্জার মার্কো বানসার বলছেন, এই ডিভাইসের কারণে নেকড়ের হামলা ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নেকড়ের পরিবারের উপর নজর রাখা যেতে পারে৷

স্ট্যালি বলছেন, সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি এলাকার কর্তৃপক্ষ ও ডাব্লিউডাব্লিউএফ তাদের ডিভাইসের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে৷ এটি শুধু ইউরোপের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে, এমন নয়৷ তিনি জানান, ‘‘আমাদের মনে হয়েছে, শুধু নেকড়ের মধ্যে থাকলেই চলবে না৷ তাই দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে হাতি, সিংহ ও হায়েনাদের ক্ষেত্রে আমরা এই ডিভাইস পরীক্ষা করে দেখেছি৷ দেখেছি, এটা সফল৷ নভেম্বরে আমরা ভারত যাব৷ সেখানে বাঘ, চিতাবাঘ আর বন্য কুকুরের ক্ষেত্রে এটি পরীক্ষা করে দেখবো৷’’

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী রক্ষার কাজটি অনেক সহজ করে দিতে পারে৷

ডয়চে ভেলে