নীলফামারী জেলায় পাটের জাগ দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষীরা
- আপডেট সময় : ০৫:২২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
বর্ষা মৌসুম শেষ হতে চললেও নীলফামারী জেলায় পর্যাপ্ত পরিমানের বৃষ্টিপাতের অভাবে পাটের জাগ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তাই চাষিরা। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বিদ্যুৎ ও ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের সাহায্যে খাল- ডোবায় পানি ভরাট করা হচ্ছে। এতে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। উৎপাদন ব্যয় কমাতে কৃষকদের পাট পঁচানোর রিবন রেটিং পদ্ধতি অনুসরণের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
আষাঢ় ও শ্রাবণ শেষ হতে চলেও নীলফামারীর দিগন্ত জুড়ে পাট আর পাট। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-বিল-জলাশয় শুকিয়ে আছে। পানি অভাবে জাগ দিতে পারছেন না কৃষকেরা।
জেলার বেশির ভাগ চাষির দুশ্চিন্তার কারণ পানির অভাব। উৎপাদিত পাট দুই-তিন কিলোমিটার দূরে নিয়ে খাল বা ডোবায়, আবার কেউ কেউ বিদ্যুৎ ও ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের সাহায্যে খাল-ডোবায় পানি ভরাট করে জাগ দেয়ার চেষ্টা করছেন। এতে খরচ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ সে কারণে উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।
এদিকে ক্ষেতে পাট থাকায় এর প্রভাব পড়েছে আমন রোপনেও। অধিকাংশ জমিতেই যথাসময়ে আমন চারা রোপনে করা যাচ্ছে না। দু’দিকেই লোকসান গুণতে হবে বলে জানান তারা।
পাট পঁচাতে রিবন পদ্ধতি ব্যবহারের পরামর্শ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের।
গেলো বছরের তুলনায় জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ অর্ধেক। আবহাওয়া অফিসের মাঝারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় আশা জেগেছে চাষীদের মনে।
নীলফামারীতে এবছর চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৬১১ হেক্টর জমিতে। এতে পাটের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮১ হাজার ৬৩৬ বেল পাট।