সুইডেন ও ডেনমার্কে কেন কোরআন নিয়ে সংকট চলছে?
- আপডেট সময় : ০১:০০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৬৩০ বার পড়া হয়েছে
ডেনমার্ক ও সুইডেনের ইসলামবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের কয়েকটি কপি পুড়িয়েছেন৷
এতে মুসলিম বিশ্বে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷ তারা এমন কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ওই দেশ দুটির প্রতি দাবি জানিয়েছে৷
দুই দেশের সরকারই কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, এটি বন্ধ করার জন্য নতুন আইন তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে৷
কিন্তু এমন পরিকল্পনার সমালোচকরা বলছেন, দুই দেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা দেয়া আছে এবং সেটি পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ ঐ স্বাধীনতাকে খর্ব করবে৷
সুইডেনে গত এক মাসে অন্তত তিনবার কোরআন পোড়ানোর পেছনে ছিলেন ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা৷ তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে চান এবং কোরানের উপর নিষেধাজ্ঞা চান৷
একই সময়ে ডেনমার্কে ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামের একটি চরম ডানপন্থি গোষ্ঠী তাদের মুসলিম-বিরোধী বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়িয়েছে৷ নরডিক দেশগুলোতে ‘ইসলামাইজেশন’ চলছে বলে তারা মনে করেন৷
গতসপ্তাহে ডেনমার্কে অন্তত ১০ কপি কোরআন পোড়ানো হয়েছে৷
ড্যানিশ-সুইডিশ চরম ডানপন্থি অ্যাক্টিভিস্ট রাসমুস পালুডেন ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত কোরান পুড়িয়ে আসছেন৷ তিনি বলেন, সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করায় তিনি তুরস্কের উপর ক্ষিপ্ত৷
বিশ্বের অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পড়ে ডেনমার্ক ও সুইডেন৷ দেশ দুটি বলেছে, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তারা কোরান পোড়ানোর বিষয়টি আইনগতভাবে সীমিত করা যায় কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে৷
ড্যানিশ ও সুইডিশ সরকার বলছে বাকস্বাধীনতার বিষয়টিইতিমধ্যে কিছুটা সীমিত অবস্থায় আছে৷ কারণ জাতি ও লিঙ্গ বিচারে কাউকে অবমাননা করা অবৈধ৷
তবে কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করা যায় এমন কোনো আইন ঐ দুই দেশে নেই৷ সুইডেন ১৯৭০ সালে ব্লাসফেমি আইন বাতিল করেছে৷ ডেনমার্ক করেছে ২০১৭ সালে৷
সুইডেনে বিক্ষোভের স্থলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে পুলিশ বিক্ষোভের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে৷ আর ডেনমার্কে বিক্ষোভের বিষয়টি শুধু পুলিশকে অবহিত করলেই চলে৷
জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আইনে কোনো পরিবর্তন আনা যায় কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখছে সুইডেন৷ তবে ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো অবৈধ করার বিষয়টি তারা উড়িয়ে দিয়েছেন৷
ডয়চে ভেলে