চট্টগ্রামে বৃষ্টির তীব্রতা কমলেও জলাবদ্ধতায় নাকাল মানুষ
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৮২১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমেছে। তবে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জমে থাকা পানিতে নাকাল এলাকাবাসী। পটুয়াখালীতে টানা এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে পানিবন্দী হাজার হাজার পরিবার। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের। ফেনীর ফুলগাজীর মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙনে প্লাবিত ৬টি গ্রাম।
চট্টগ্রামে বৃষ্টির তীব্রতা কমলেও জলাবদ্ধতায় নাকাল মানুষ। নগরীর চকবাজার, শান্তীবাগ, কাতালগঞ্জ, চান্দগাঁও, হালিশহরের মতো নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ফলে চরমে উঠেছে জনদুর্ভোগ। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে বেড়েছে ভোগাস্তির মাত্রা।
পটুয়াখালীতে ১ সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ৩১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। পানি বন্দি হাজার হাজার পরিবার। ভেসে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের। ঝড়ো হাওয়ার শংকায় পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে মাছধরার ট্রলারগুলোকে।
ফেনীর বেড়িবাঁধের ভাঙনে উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর ও পূর্ব ঘনিয়া মোড়া, উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া ও বিজয় পুর গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক, আমন খেত ও মাছের খামার। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মুহুরী নদীর পানি।
বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ৩ দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ১৪৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
ঝালকাঠিতে ভারী বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জোঁয়ের প্রভাবে সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর পানি ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের বিভিন্ন সড়কে জমেছে হাঁটু পানি। পানি ঢুকে পড়েছে অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িতে।
পিরোজপুরে টানা বর্ষণ ও জোয়ারের পানি জমেছে নিম্নাঞ্চলে। জলাবদ্ধতায় ৭ উপজেলায় ফসলের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
পূর্ণিমার জোয়ারে বরগুনার নদ-নদীতে পানির উচ্চতা বেড়েছে। তলিয়ে গেছে বসতবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি।
জেলায় ৮০৫ কিলোমিটার বেরিবাঁধ রয়েছে। এসব বাঁধ ভেঙ্গে যাতে জানমালের ক্ষতি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।