আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের জুয়েলারি পণ্যের চাহিদা বাড়াতে হবে : ড. আহসান এইচ মনসুর
- আপডেট সময় : ০৮:১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৭১৪ বার পড়া হয়েছে
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্রান্ডিংয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের জুয়েলারি পণ্যের চাহিদা বাড়াতে হবে। তিনি স্বর্ণের দোকানে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযানকে ‘ক্যামেরা ট্রায়াল’ অভিহিত তা বন্ধের দাবি জানান। সকালে জুয়েলারি শিল্প নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্কে এসব কথা বলেন আহসান এইচ মনসুর।এসময় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, স্বর্ন চোরাচালান বন্ধ না হলে, বেসরকারি খাতে জুয়েলারি শিল্প হুমকির মুখে পড়বে।
আন্তর্জাতিক বাজারে হাতে তৈরি স্বর্ণের গহনার কদর বাড়ছে। আর বাংলাদেশের কারিগরদের তৈরি গহনার রয়েছে আলাদা কদর। এজন্য বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রয়েছে অমীত সম্ভাবনা।
এমন বাস্তবতায়, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এফডিসিতে জুয়েলারি শিল্পের বেসরকারি উদ্যোগতাদের ভূমিকা নিয়ে ছায়া সংসদ বিতর্কে অংশ নেয় ঢাকা কলেজ ও বিজিএইএ ইউনিভাসিটির বির্তার্কিকরা।
ছায়া সংসদের স্পিকার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান, হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে ১০ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জুয়েলারি শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশেষ ইকোনমিক জোন গঠন করতে হবে।
প্রধান অতিথি পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের নিবার্হী পরিচালক বলেন, জুয়েলারি শিল্পের বিকাশে রফতানির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি স্বর্ণের দোকানে শুল্ক গোয়ন্দাদের অভিযানের সমালোচনা করে, স্বর্ণ চোরাচালানের মূল কারণ অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।
টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়নের সমালোচনা করেন অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি মূল্যস্ফীতি রোধের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ দেন।
পরে, বিতর্কে বিজয়ী ঢাকা কলেজের বিতার্কিকদের পুরস্কার তৃলে দেন অতিথিরা।