চট্টগ্রামে উর্ধ্বমুখী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৭৫১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখনো উর্ধ্বমুখী। দৈনিক ১২০ থেকে ১৫০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও জেলা জুড়ে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় জমে থাকা পানিতে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও অবনতির আশংকা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে সতর্কতা জারি করে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে বন্দর নগরীর অন্তত ৪০ শতাংশ এলাকা ডুবে ছিলো ৫ দিন। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্লাবিত হয় জেলার ৬টি উপজেলা। বেশিরভাগ এলাকা এখন স্বাভাবিক হয়ে এলেও, বিভিন্ন পকেটে জমে আছে বৃষ্টির পানি। যা এডিস মশার বংশ বিস্তারে উপযোগী হিসেবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সিটি কর্পোরেশনসহ জেলার সব পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
চিকিৎসকরা জানান, চট্টগ্রামের ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনো উর্দ্ধমুখী। ডেঙ্গু বিস্তারে সহায়ক যে কোনো অনুসঙ্গ পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির পর ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি মশার লার্ভা শনাক্তে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
জনস্বাস্থ্য অধিকার কর্মীরা বলছেন, করোনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রনে পুরো সমাজকে সংযুক্ত করতে না পারলে, সুফল আসবে না।
চট্টগ্রামে গেলো এক মাসের ব্যবধানে চার হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কোনো হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড চালু করা হয়নি। সাধারণ রোগীর সঙ্গেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ডেঙ্গু রোগীদের। যা অধিক ঝুঁকিপুর্ণ বলে মনে করছেন ডা মাহফুজুর রহমান।