পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে তিস্তার পানি
- আপডেট সময় : ০১:২৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৬৯০ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে তিস্তার পানি। বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে হাজারো মানুষ। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার বিভিন্ন এলাকার রোপা আমন ক্ষেত।
নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার। এক ঘরে গবাদিপশুর সঙ্গে খেয়ে না খেয়ে অনাহারে দিন কাটছে নিম্নাঞ্চলের বানভাসিদের। বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত ও নদী তীরবর্তী রাস্তাঘাট-বসতবাড়ি। পানি বৃদ্ধি আরও অব্যাহত থাকলে স্থানীয় ১৫ ইউনিয়নের ৩৫ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে পাটগ্রাম, দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারীর মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
লালমনিরহাটে উজানের ঢলে আবারও উত্তাল তিস্তা নদী। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে চতুর্থ দফায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই পানি বন্দী হয়ে পরেছে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে জেলার রাজারহাট, কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলার চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকা। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকার রোপা আমন ক্ষেত। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, টানা বৃষ্টিপাতে জেলার নদ-নদীতে আরও দুই থেকে তিনদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।