গিনি উপসাগরে মিশনের পরিকল্পনা ইইউর: রিপোর্ট
- আপডেট সময় : ১১:৫৭:১১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন চলতি শরত্কালে পশ্চিম আফ্রিকায় একটি নতুন মিশন শুরু করবে৷একটি জার্মান সংবাদপত্র এ কথা জানিয়েছে৷
সম্মিলিত সামরিক-বেসামরিক অভিযানের লক্ষ্য হবে জিহাদি গোষ্ঠীর মদতে তৈরি হওয়া অস্থিরতাকে ঠেকানো৷
রোববার কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদপত্র ডি ভেল্ট আম জনটাগ জানায়, আফ্রিকার দেশ ঘানা, টোগো, বেনিন এবং আইভরি কোস্টে পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো পশ্চিম আফ্রিকার গিনি উপসাগরে অভিযান শুরু করতে রাজি হয়েছে৷
সংবাদপত্রটির তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযান বা মিশনের লক্ষ্য, স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য প্রস্তুতিতে সহায়তা করা, প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া, নিরাপত্তা খাতে জোর দেয়া, আত্মবিশ্বাস বজায় রাখার পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত করা৷
লুক্সেমবুর্গে চলতি বছরের অক্টোবরে এক বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের পর মিশনটি চালু করার কথা৷
মিশন সম্পর্কে প্রতিবেদনে আর কী বলা হয়েছে?
পরিকল্পিত মিশনের পিছনের কারণ হলো, ইইউ-এর উদ্বেগ যে কট্টর ইসলামপন্থি দলগুলো ‘‘পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে গিনি উপসাগরের দক্ষিণ উপকূলীয় দেশগুলো দিকে তাদের সক্রিয়তা ও কার্যকলাপ বাড়াতে পারে, যা এই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে৷”
ইসলামিক স্টেট এবং আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর জঙ্গি কার্যকলাপ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মালি, নাইজার এবং বুর্কিনা ফাসোর মতো দেশগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷
সাহেলে সামরিক শাসনকে সমর্থনকারী ভাগনার সেনাদের মাধ্যমে এলাকায় রুশ প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে৷ ইইউ এই অঞ্চলে রাশিয়ার প্রভাব মোকাবেলা করতে চায়৷
ফরাসি এবং জার্মান বাহিনী মালির সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলো৷ কিন্তু মালি তাদের বের করে দেওয়ার পরে ইইউ-এর জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে৷
সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, বেনিন এবং ঘানা ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউকে তাদের ভূখণ্ডে মিশন মোতায়েন করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে৷
অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ অভ্যুত্থানের পরে সামরিক সরকারের অধীনে রয়েছে৷ ২৬ জুলাই নাইজারেও জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করেছে৷ মালি এবং বুরকিনা ফাসোতেও সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করেছে৷
জান্তা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর নাইজারের পতন বিশেষভাবে উদ্বেগজনক কারণ এটি সমগ্র অঞ্চল জুড়ে পশ্চিমা শক্তিগুলির প্রধান সহযোগী ছিল৷
ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ