অর্ধকোটি টাকার গাছের মূল্য মাত্র ৮০ হাজার টাকা
- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৬৯৮ বার পড়া হয়েছে
সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের সুদিন হারিয়েছে অনেক আগেই। এর পরও কয়েক বছরে পাটের আবাদ কিছুটা বেড়েছে উত্তরাঞ্চলে। তবে কৃষকের অভিযোগ- পাটের কাঙ্খিত দাম মেলে না কোনবারই। এদিকে পাটের সুদিন ফেরাতে মন্ত্রণালয়ের ১৯ নির্দেশনা কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।
নওগাঁর ঐহিত্যবাহী আহসানগঞ্জ পাটের হাট। এক সময়ের বিশাল এই হাটের আয়তন কমেছে অন্তত ৪ গুণ।
নওগাঁ ছাড়াও আশপাশের নাটোর ও জয়পুরহাটের চাষিরা এই হাটে আসতো পাট বিক্রি করতে। চাষিদের অভিযোগ, চড়া উৎপাদন খরচের বিপরীতে বাজারদর একেবারেই কম। জাত ও মান ভেদে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২২শ’ টাকা পর্যন্ত। যেখানে হাল, সার, কীটনাশক সব মিলিয়ে একমণ পাট উৎপাদনে খরচ পড়ে ১৯শ’ টাকা। চাষীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কন্ঠেও লোকসানের সুর।
এদিকে, পাট আবাদের গতিবৃদ্ধি ও দূষণ রোধে পণ্যবিক্রিতে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে সরকার। কিন্তু এখনও বৃহত্তর চালকল সেক্টরসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকর হয়নি সেই নির্দেশনা। মিলগুলোতে হরহামেশা ব্যবহার হচ্ছে ক্ষতিকর প্লাষ্টিক ব্যাগ। ব্যবসায়ীদের দাবী, প্লাষ্টিক ব্যাগে খরচ কম। আবার পণ্যের মানও থাকে ভালো।
পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও বলছেন, এখনও ঠিকঠাক নিশ্চিত করা যায়নি পাটের বস্তার ব্যবহার। আগামীতে জোরেসোরে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন এই কর্মকর্তা। পাটের সুদিন ফেরাতে পাট পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর বিকল্প নেই; বলছেন সংশ্লিষ্টরা।