টানা বর্ষণ আর ভারতীয় ঢলে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
- আপডেট সময় : ০৫:২২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৮৭৮ বার পড়া হয়েছে
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলে জামালপুর, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে এসব জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় ঢলে জামালপুরে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরামসহ জামালপুরের সব শাখা নদীর পানি বেড়েই চলছে। এতে ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলি, প্রাথর্শী, সাপধরী, মেলান্দহের মাহমুদপুর এবং দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার পরিবার। রোপা-আমনসহ বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ও লোকালয়ে পানি ঢুকে ডুবে গেছে কাঁচাপাকা সড়কসহ বেশি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি কমলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি এখনও বিপদসীমার উপরে অবস্থান করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চর, খেয়ার আলগা চরের অনেক বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় পরিবারগুলো উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি হ্রাস পেলেও জেলার ভাটিতে পানি বাড়ায় ব্রহ্মপুত্রের পানি নামতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বাড়ায় ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতভিটা। নিম্নাঞ্চলগুলো দ্রুত প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।