লন্ডনের পাড়ায় সৌরশক্তি ব্যবহারের অভিনব উদ্যোগ
- আপডেট সময় : ১১:৫৪:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭৬৭ বার পড়া হয়েছে
অবশেষে নতুন সোলার প্যানেল এসে গেছে৷ ফলে পথের আলোকবাতি নিজস্ব শক্তি উৎপাদন করতে পারবে৷ লন্ডনের পূর্বাংশের লিনমাউথ রোডের বাসিন্দারা প্রায় দুই বছর ধরে সেই লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন৷ তাঁরা প্রতিবেশীদেরও সেই উদ্যোগে শামিল করার চেষ্টা চালিয়েছেন৷ আজ তাঁদের স্বপ্ন সফল হতে চলেছে৷ শিল্পী হিসেবে হিলারি পাওয়েল বলেন, ‘‘কিছু একটা হতে চলেছে, জানালায় পাওয়ার স্টেশনের পোস্টার, এমন চাপ তো ছিলই৷ তাই সেই লক্ষ্য পূরণ হবার প্রথম মুহূর্ত অবশ্যই আনন্দের৷ মনও হালকা হয়৷”
চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা ড্যান এডেলস্টিন নিজেদের পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘আমরা গোটা রাস্তার জন্যই সোলার প্যানেল চেয়েছিলাম৷ কিন্তু দ্রুত বুঝলাম, যে সেটা সম্ভব হবে না৷ সবাইকে বুঝিয়ে শুরুতে রাজি করানো সত্যি কঠিন হবে৷”
শিল্পী হিসেবে হিলারি পাওয়েল ও ড্যান এডেলস্টিনের মাথায় এই আইডিয়া এসেছিল৷ প্রথমে তাঁরা গোটা পথের আলোকবাতি একটি গ্রিডের সঙ্গে সংযোগের আশা করেছিলেন৷ কিন্তু কয়েকটি বাড়ির ছাদ সোলার প্যানেল বসানোর উপযুক্ত ছিল না৷ কয়েক জন প্রতিবেশীও সেই উদ্যোগে শামিল হতে চান নি৷ তবে লিনমাউথ রোডের ২৫টি পরিবার অংশ নিয়েছিলো৷ ড্যান বলেন, ‘‘আমার মতে ব্রিটেনজুড়ে অনেক লাখ মানুষ জলবায়ু সংকট সমাধানের লক্ষ্যে অর্থ ঢালতে চায়৷ এখানকার মতো স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট সমাধানসূত্র তুলে ধরলে সাধারণ মানুষের মনে ধরে৷”
অ্যাকটিভিস্টদের মতে, জলবায়ু সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে সরকারের এমন উদ্ভাবনশীল পরিবেশ সৃষ্টির মতো উন্নয়ন প্রকল্পে মদত দেওয়া উচিত৷ ড্যান এডেলস্টিন বলেন, ‘‘আমাদের বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজন৷ বাসভবন, বাসা বা ব্যবসার জায়গাকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে হলে মানুষকে হয় সমান অংকের অর্থ বা ভরতুকি দিতে হবে৷”
হিলারি ও ড্যান সোলার প্যানেল বসানোর দৃশ্যের ভিডিও তুলছেন৷ সেটাই ‘সৌর সড়ক’ সৃষ্টির প্রথম পদক্ষেপ৷ তাঁদের প্রতিবেশী অ্যাঞ্জেলার আশা, সোলার প্যানেল তাঁর বিদ্যুতের বিল কমাতে সাহায্য করবে৷ তিনি বলেন, ‘‘ছাদের উপর প্যানেল সফল হলে সেটা আমাদের গ্রহের জন্য অনেক ভালো হবে৷ মানুষ তার সুফল দেখতে পারবে৷ এটা সূচনামাত্র৷ অবশ্যই বিল অনেক কমে যাবে৷”
বর্তমানে এমন সৌরশক্তিচালিত ঘরবাড়ি সেখানে বিরল দৃষ্টান্ত৷ ‘অক্টোপাস এনার্জি’ নামের ব্রিটেনের এক বড় বিদ্যুৎ কোম্পানি এ ক্ষেত্রে সহযোগী হয়ে নিজেদের পথিকৃৎ হিসেবে দাবি করছে৷ কোম্পানির প্রতিনিধি নিল উলি বলেন, ‘‘ব্রিটেনের গ্রিড সিস্টেম সবচেয়ে সেকেলে প্রণালীগুলির মধ্যে পড়ে৷ পুরোপুরি জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরশীল৷ সন্ধ্যা ছয়টার মতো পিক টাইমে, যখন মানুষ বাসায় ফিরে রাতের খাবার রান্না করে, তখন সেই চাহিদা মেটাতে গ্রিডে কয়েকশো জেনারেটর চালাতে হয়৷ ফলে মারাত্মক মাত্রায় দূষণ ঘটে৷ সেটা খুব দামীও বটে৷”