চট্টগ্রামের আরও একটি এলাকাকে স্যুয়ারেজ সুবিধায় আনতে কাজ করেছে ওয়াসা
- আপডেট সময় : ০২:০৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৮০৪ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের আরও একটি এলাকাকে স্যুয়ারেজ সুবিধায় আনতে কাজ করেছে ওয়াসা। এবার পিপিপি পদ্ধতিতে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে চায় তারা। এতে কাজের গুনগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপুল পরিমান অর্থও সাশ্রয় হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা বলছে, ২৮ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে প্রকল্পটির সুবিধাভোগী হবে ৫ লাখ নগরবাসী। তবে নগরবিদরা বলছেন, অন্য সেবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করলে, অতীতের মতো জনভোগান্তীর পাশাপাশি সুফল পাবে না নগরবাসী।
প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পর বন্দর নগরী ঘিরেকে স্যুয়ারেজ প্রকল্প গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। পুরো নগরীকে ৬ টি ভাগে ভাগ করে প্রথম অংশ অর্থাৎ আগ্রাবাদ হালিশহর ক্যাসম্যান এলাকায় ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এবার বন্দর থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আরেক ভাগের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে ওয়াসা। তবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নয়; পিপিপি পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাপানের একটি প্রতিষ্ঠানকে পাশে চায় তারা। প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজর ২ শো কোটি টাকা।
ওয়াসা বলছে, প্রথম অংশের কাজে সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহে অনুপ্রাণিত তারা। পিপিপি পদ্ধতিতে দ্বিতীয় অংশের কাজ এগোলে, বাকিগুলোও দ্রুত শুরু করা হবে।
তবে নগরবিদরা বলছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সিডিএ বাস্তবায়ন করলেও মুলত প্রকল্পটি ছিলো ওয়াসার। যার সুফল পায়নি নগরবাসী। এছাড়া অতীতে পানির লাইন সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজে দক্ষতা দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। তাই স্যুয়ারেজের মতো এতোবড় প্রকল্প নিতে হলে সঠিক পরিকল্পনা ও অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় জরুরি।
২০৩৫ সালের মধ্যে পুরো নগরীকে স্যুয়ারেজ প্রকল্পের আওতায় আনার কথা বলা হলেও পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় অন্তত ৩০ শতাংশ বাসাবাড়িতে পাইপ লাইন স্থাপন সম্ভব হবে না। বিশেষায়িত গাড়িতে করে ওইসব বাসাবাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে পয়ঃবর্জ্য পরিবহন করে ট্রিটমেন্ট প্লানে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসার।